☎ সংযোগ ব্যবহার করে কম্পিউটার অডিও মডেম ভিডিও যন্ত্রের সাহায্যে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোন সভায় অংশগ্রহণ করার পদ্ধতিকে টেলিকনফাররন্সিং বলা হয়৷
এ পদ্ধতিতে একই স্থানে না এসে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের একদল লোক সভায় মিলিত হয়ে কার্যবিবরণী মতামত ও রিপোর্ট পেশ করতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷ কয়েকজনের একটি ছোট দল অথবা অনেক লোকের বড় দল এ সভায় মিলিত হতে পারে৷
এর ফলে সময় ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হয়ে থাকে৷ ☎ সংযোগ ব্যবহার করে কম্পিউটার অডিও তথা মাইক ও স্পিকার মডেম এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের সাহায্যে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান হতে টেলিকনফারেন্সিং এ অংগ্রহণ করা যায়৷
টেলিকনফারেন্সিং |
ছাত্র শিক্ষক গবেষক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে টেলিকনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করে থাকেন৷ তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য এটি একটি বহুল প্রচলিত নিরাপদ পদ্ধতি৷
টেলিকনফারেন্স কম্পিউটারাইজড কনফারেন্স অথবা সিসি নামে পরিচিত৷ ১৯৭৫ সালে মরি টারফ এ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন৷ প্রেসিডেন্ট নিক্সনের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসকদের মধ্যে টেলিকনফারেন্স ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়৷
টেলিকনফারেন্স তিনটি ধারায় নিয়ন্ত্রিত৷ কনফারেন্স সবার জন্য উন্মুক্ত হতে পারে নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে একদল লোক খুলতে পারে অথবা এটি সীমিত হতে পারে যাতে যে কেউ কার্যবিবরণী দেখতে পারেন এবং শুধু অংশগ্রহণকারী বার্তায় মন্তব্য জুড়ে দিতে পারেন (রিড অনলি কনফারেন্স)৷
টেলিকনফারেন্সিং কত প্রকার?
বিভিন্ন ধরনের টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা রয়েছেঃ
- পাবলিক কনফারেন্স
- ক্লোজড কনফারেন্স এবং
- রিড অনলি কনফারেন্স
পাবলিক কনফারেন্স কি?
পাবলিক কনফারেন্স সবার জন্য উম্মুক্ত করা হয়।
ক্লোজড কনফারেন্স কি?
যেকেউ এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে ক্লোজড কনফারেন্স সকলের জন্য উম্মুক্ত নয়, পাসওয়ার্ড প্রটেকটেড হয়।
রিড অনলি কনফারেন্স কি?
শুধুমাত্র নির্দিষ্টি পাসওয়ার্ড দিয়ে এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা যায়।
টেলিকনফারেন্সিং কত ধরণের ও কি কি?
টেলিকনফারেন্সিং এর অর্থ হল টেলিযোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে বৈঠক। ইলেক্ট্রনিক্স দ্বারা দুই বা ততোধিক অবস্থানের মধ্যে লোককে সংযুক্ত করার জন্য ইহা একটি জেনেরিক শব্দ।
কমপক্ষে ছয় ধরনের টেলিকনফারেন্সিং রয়েছেঃ
- অডিও
- অডিওগ্রাফিক
- কম্পিউটার
- ভিডিও
- ব্যবসায় টেলিভিশন (বিটিভি) ও
- দূরত্ব শিক্ষা
টেলিকনফারেন্সিং কিভাবে কাজ করে?
টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থায় কোন সভায় অনুমোদিত সকলকে সশরীরে উপস্থিত থাকার সীমাবদ্ধ থাকে না। এক্ষেত্রে অনুমোদিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
যার ফলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয়ী হয়। তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনে এটি একটি বহুল প্রচলিত নিরাপদ পদ্ধতি।
টেলিকনফারেন্সিং এর সুবিধা?
- পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে মিটিং এ অংশগ্রহণ করা যায়।
- ঘরে বসেও মিটিং করা যায়।
- কোন জায়গায় যেয়ে মিটিং কিংবা সভা করার ঝামেলা থাকে না।
- পাবলিক কনফারেন্স সকলের জন্য উন্মুক্ত করা যায়।
- ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।