হাব হল নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারসমূহকে পরস্পর সংযুক্ত করার জন্য একটি সাধারণ কানেক্টিং পয়েন্ট। যা রিপিটার হিসেবে কাজ করে থাকে। হাবের মধ্যে অনেকগুলাে পাের্ট থাকে।
হাব ও সুইচ |
একটি পাের্টের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে। হাবের অন্তর্ভুক্ত যেকোন কম্পিউটার থেকে কোন ডেটা প্রেরণ করলে তা সব পাের্টের কাছেই পৌঁছায়।
যার ফলে নেটওয়ার্কভুক্ত সকল কম্পিউটারই উক্ত ডেটা বা তথ্য গ্রহণ করতে পারে। হাবের মাধ্যমে ডেটা বা তথ্য আদান প্রদানে বাধার সম্ভাবনা থাকে।
সুইচ কাকে বলে?
সুইচ এক ধরনের নেটওয়ার্কিং ডিভাইসের আওতাধীন ডিভাইসগুলোকে একত্রে সংযুক্ত করে। আর এখানে ডিভাইস বলতে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও স্ক্যানার ইত্যাদিকে বুঝায়।সুইচ এবং হাবের কাজ প্রায় একই ধরনের হয়। তবে হাবের কাছে প্রেরিত সিগন্যাল গ্রহণ করার পর তা একই সাথে সকল কম্পিউটারে পাঠায় অর্থাৎ সিগন্যাল ব্রডকাস্ট করে থাকে।
কিন্তু সুইচ প্রেরিত সিগন্যাল গ্রহণ করার পর এটি শুধুমাত্র টার্গেট করে পাঠায়। আর এজন্য সুইচ ইন্টেলিজেন্ট ডিভাইসও বলা হয়। এছাড়াও সুইচ দুর্বল সিগনালকে এমপ্লিফাই কিংবা বর্ধিত করে টার্গেট কম্পিউটারে পাঠিয়ে থাকে।
হাব ও সুইচের মধ্যে পার্থক্য?
Hub এবং switch এর প্রধান পার্থক্য হলঃহাবঃ
- ডেটা সিগন্যাল প্রাপক কম্পিউটারের সবগুলো পোর্টে পাঠায়৷
- সকল নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলোকে যুক্ত করার জন্য হাব ব্যবহার করা হয়।
- হাবের তুলনামূলক দাম কম হয়।
- হাব নির্দিষ্ট ঠিকানা অনুযায়ী তথ্য বা ডেটা পাঠাতে পারে না।
- হাবের কাজের গতি কম হয়।
- পোর্ট কম থাকে৷
- সময় বেশি লাগে৷
- মূল্য কম।
- হাব কমসংখ্যক কম্পিউটারকে যুক্ত করতে পারে।
- হাবের কনফিগারেশন সহজ হয়।
সুইচঃ
- প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়৷
- সকল নেটওয়ার্কের কম্পিউটারকে যুক্ত করতে সুইচ ব্যবহৃত হয়।
- সুইচের মূল্য হাবের থেকে একটু বেশি হয়।
- সুইচ নির্দিষ্ট ঠিকানা অনুযায়ী তথ্য বা ডেটা পাঠাতে পারে।
- সুইচের গতি হাবের থেকে বেশি হয়।
- পোর্ট বেশি থাকে৷
- সময় কম লাগে৷
- তুলনামূলকভাবে মূল্য বেশি৷
- সুইচ হাবের তুলনায় বেশি সংখ্যক কম্পিউটার সহজে যুক্ত করতে পারে।
- সুইচের কনফিগারেশন একটু জটিল হয়।