অপটিক্যাল ফাইবার কমিউনিকেশনেও টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার তিনটি অংশ রয়েছে। এগুলো হল প্রেরক যন্ত্র, প্রেরণ মাধ্যম এবং গ্রাহক যন্ত্র। প্রেরক যন্ত্রের মাধ্যমে অ্যানালগ বা ডিজিটাল সংকেতকে প্রয়োজনীয় মডুলেশন করে আলোক তরঙ্গ হিসেবে রুপান্তর করা হয় এবং ফাইবার অপটিকে তা প্রেরণ করা হয়।
ফাইবার অপটিকের মধ্য দিয়ে মধ্য দিয়েই এই এনকোডেড বা মডুলেটেড আলোকরশ্মি পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে গ্রাহকযন্ত্রে পৌঁছানোর জন্য পরিবাহিত হয়। অপটিক ফাইবারের একেবারে ভেতরের অংশটি হল কোর যা অত্যন্ত স্বচ্ছ কাচ দিয়ে তৈরি। এর প্রতিসরাঙ্ক অনেক বেশি থাকে।
অপটিক্যাল ফাইবার |
অন্যদিকে কোরের উপরে যে ক্ল্যাডিং থাকে তা সাধারণত কাচ বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি যার প্রতিসরাষ্ক অনেক কম থাকে। অপটিক ফাইবারে বেশি প্রতিসরাঙ্কের কোর অংশ থেকে আলো যখন কম প্রতিসরাঙ্কের ক্ল্যাডিং অংশের দিকে গমন করে তখন তা ক্ল্যাডিং মাধ্যমে দিয়ে প্রতিসরিত না হয়ে বরং পূর্ণমাত্রায় প্রতিফলিত হয় হয়ে পুনরায় কোর অংশে ফিরে আসে।
কিন্তু পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের নিয়ম অনুসারে এটি ততক্ষণে অনেকখানি দূরত্ব প্রায় দশ কিলোমিটার অতিক্রম করে ফেলে। এভাবেই অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য দিয়ে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে খুব কম লসে ডেটা অধিক পরিমান পরিভ্রমণ করে।
আর এভাবে আলোক সিগন্যাল ফাইবার অপটিক মাধ্যম দিয়ে গ্রাহক যন্ত্রে পৌঁছায়। গ্রাহক যন্ত্রের ফটো ডিটেক্টর এবং প্রসেসিং ইউনিট নামে দুটো অংশ থাকে। এর মধ্যে ফটো ডিটেক্টরটি ফাইবার অপটিক থেকে ডেটাকে উদ্ধার করে। আর প্রসেসিং ইউনিট ডেটাকে অ্যাম্প্লিফিকেশন, ফিল্টারেশন, ডিমডুলেশন করে ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দেয়।