Rdbms বলতে কি বুঝায় | RDBMS এর কাজ কি

RDBMS এর পূর্ণরূপ কি?

RDBMS এর পূর্ণরুপ হল Relational Database Management System বা (RDBMS)।

RDBMS কি?

ডেটাবেসে একাধিক টেবিল একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডের প্রাইমারি কী ও ফরেন কী এর উপর ভিত্তি করে সম্পর্ক স্থাপন করাই হল রিলেশনশীপ। রিলেশনাল ডেটাবেস মডেল হল আধুনিক ডেটাবেসের একটি ভিক্তি৷ 

একটি ডেটা টেবিলের ডেটার সাথে অন্য এক বা একাধিক ডেটা টেবিলের ডেটার সম্পর্ককে রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে৷
Rdbms
Rdbms

সম্পর্কযুক্ত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ডেটাবেস প্রোগ্রামের সাহায্যে একই সাথে একাধিক ফাইলের ডেটা ব্যবস্থাপনার কাজ করা যায়৷ সম্পর্কযুক্ত ডেটাবেস প্রোগ্রামে ফাইলগুলোকে সারি ও কলামবিশিষ্ট সারণি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

শুধু রেকর্ডের তালিকা  হিসেবে নয়৷ ভিন্ন ভিন্ন টেবিলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সম্পর্কযুক্ত প্রতিটি টেবিলের ডেটা ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করা হয় বলে একে সম্পর্কযুক্ত ডেটাবেস বা রিলেশনাল ডেটাবেস (Relational Database) বলা হয়৷

RDBMS এর বৈশিষ্ট্য?

রিলেশনাল ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরুপঃ
  • সহজে বিভিন্ন টেবিল তৈরি করে ডেটা এন্ট্রি করা যায় এবং ডেটাকে বিভিন্নভাবে সাজানো যায়৷ 
  • ডেটাবেসের যেকোন টেবিলে থাকা ডেটাকে মুহূর্তেই খুঁজে বের করা যায়৷ 
  • প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্নভাবে রিপোর্ট তৈরি করা যায়৷ 
  • ডেটাবেসের বিভিন্ন টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা যায়৷ 
  • বিভিন্ন ধরনের ডেটা সংগ্রহ করে সহজেই রিপোর্ট প্রণয়ন ও সংরক্ষণ করা যায়। 
  • সহজেই রেকর্ডের ভিক্তিতে আধুনিকীকরণ করা যায় এবং ডেটার বাহুল্যতা কমানো যায়। 
  • মেনু থেকে কমান্ড প্রয়োগের পাশাপাশি টুলস বাটন থেকে সহজে এবং দ্রুত কমান্ড প্রয়োগ করা যায়৷
  • গ্রাফিক্যাল সুবিধা ব্যবহার করে রিপোর্টে গ্রাফিক্স সমন্বয় এবং গ্রাফিক্যাল ডেটা এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়। 
  • সকল ধরনের ডেটাকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 
  • সহজে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার/প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। 
  • উইজার্ড ব্যবহার করে দ্রুত ডেটা টেবিল, কুয়েরি, রিপোর্ট তৈরি করা যায়। 
  • অন্যান্য প্রোগ্রাম মাইক্রোসফট এক্সেস, ফক্সপ্রো ইত্যাদি থেকে সহজে ডেটা সংগ্রহ করে ব্যবহার করা যায়। 
  • ডেটা ভ্যালিডেশনের মাধ্যমে ডেটা এন্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 
  • এক ডেটাবেস থেকে অন্য ডেটাবেসে সহজে তথ্য আদান প্রদান করা যায়। 
  • সংখ্যাবাচক ডেটাসমূহে সুক্ষ গাণিতিক হিসাব তৈরি করা যায় এবং প্রয়োজনীয় চার্ট বা গ্রাফ তৈরি করা যায়। 
  • সহজে নানা ফরমেটের রিপোর্ট ও লেবেল তৈরি করা ও তা মুদ্রণ করা যায়। 

RDBMS এর উপাদান?

RDBMS এর উপাদানগুলো হলঃ
  • ডেটা অ্যাবস্ট্রাকশন
  • ডেটা কনকারেন্সি
  • ডেটার মাল্টিপল ভিউ
  • ডেটা ডেফিনিশন ল্যাংগুয়েজ
  • ডেটা রিডানডেন্সি
  • ডেটা মেনিপুলেশন ল্যাংগুয়েজ

ডেটা অ্যাবস্ট্রাকশন

রিলেশন ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে বিভিন্ন টেবিলে ডেটা রাখা হয় বিধায় এক টেবিলের ডেটা অন্য টেবিলের উপর কম নির্ভরশীল।

ডেটা কনকারেন্সি

একই ডেটাবেজে একাধিক ব্যবহারকারী একসেস করতে সক্ষম।

ডেটার মাল্টিপল ভিউ

এর সাহায্যে ব্যবহারকারীগণ একই ডেটার একাধিক ভিউ তৈরিতে সক্ষম হয়।

ডেটা ডেফিনিশন ল্যাংগুয়েজ

DML ডেটাবেস তৈরি করা, ডেটাবেস/টেবিলের স্ট্রাকচার পরিবর্তন, ডিলিট, রিনেম এবং রেকর্ডসমূহ মুছার কাজ করে থাকে। টেবিল সংক্রান্ত কাজের জন্য DML ব্যবহৃত হয়।

ডেটা রিডানডেন্সি

এতে ডেটা একাধিক টেবিলে বিভক্ত থাকায় ডেটার পুনরাবৃত্তি কম ঘটে। 

ডেটা মেনিপুলেশন ল্যাংগুয়েজ

DML বিভিন্ন ধরনের ডেটা অপারেশন যেমনঃ ডেটা রিট্রিভ করা, আপডেট করা নতুন ডেটা সন্নিবেশিত করা, ডেটা মুছা, ডেটা পরিবর্তন করা, ইনডেক্স করা ইত্যাদি কাজ করে থাকে। ডেটা সংক্রান্ত কাজের জন্য DML ব্যবহৃত হয়।


RDBMS এর ইতিহাস?

প্রাচীনকাল হতে মানুষ তার প্রয়োজনে ডেটা সংরক্ষণ করে আসছে বিভিন্ন গঠনে বিভিন্নভাবে। ১৯৬০ সালে মানুষ প্রথম কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে ডেটা সংরক্ষণ করা শুরু করে। 

আর এখান থেকে ইলেকট্রনিক ডেটাবেসের সূচনা হয়। এ সময়ে নেটওয়ার্ক মডেল ও হায়ারার্কিক্যাল মডেল পদ্ধতিতে ডেটাবেসে ডেটা সংরক্ষণ করা হয়। ১৯৭০ সালে Dr. Edgar F. Codd রিলেশনাল ডেটাবেস মডেল বাস্তবায়নের জন্য ১২টি নিয়ম প্রস্তাবনা করেন। 

এর ওপর ভিত্তি করে আরডিবিএমএস টার্মটি স্বীকৃতি পায়। এরপর ১৯৭৬ সালে পি. চেন এনটিটি রিলেশনশিপ মডেলের প্রস্তাবনা করেন। যা লজিক্যাল টেবিল স্ট্রাকচারের পরিবর্তে ডেটা অ্যাপ্লিকেশনের ডিজাইন ওপর গুরুত্বারোপ করে।

পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে কুয়েরি ভাষা হিসেবে SQL (Structured Query Language) আদর্শ হিসেবে গৃহীত হয়। ১৯৭০ সালে এডগার কড (Edger Codd) সম্পর্কযুক্ত ডেটাবেসের প্রবর্তন করেন৷ 

তিনি তার প্রবর্তিত ডেটাবেসকে গাণিতিক ফর্মুলার ভিওিতে প্রতিষ্ঠা করেন৷ বিভিন্ন ডেটাবেস টেবিল থেকে ডেটা ব্যাবহার করার জন্য কোন কমন ফিল্ডের ওপর ভিত্তি করে একাধিক ডেটাবেসের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন  করার পদ্ধতিকে রিলেশনাল ডেটাবেস সিস্টেম বলে৷

একটি ডেটাবেসে একাধিক ডেটা টেবিল থাকেতে পারে৷ কোন একটি অদ্বিতীয় মানের ফিল্ডের ওপর ভিত্তি করে দুই বা ততোধিক ডেটা টেবিলের মধ্যে যে সম্পর্ক স্থাপন করা হয় তাকে রিলেশনশিপ বলে৷ 

কতগুলো প্রোগ্রামের সমন্বয়ে ডেটাবেসে বিভিন্ন ডেটা টেবিল তৈরি, নিয়ন্ত্রণ, সম্পর্ক স্থাপন, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, অনুসন্ধান  প্রভৃতি সিস্টেম বলে৷ বর্তমানে সারা পৃথিবীতে রিলেশনাল ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যার ফলে মাইক্রো কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য অনেক ধরনের ডেটাবেস সফটওয়্যার পাওয়া যেত। পরবর্তীতে মিনি কম্পিউটার ও মাইক্রো কম্পিউটার প্রচলনের সাথে রিলেশন ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। 

RDBMS এর সফটওয়্যার?

RDBMS এর কাজের জন্য বহুল ব্যবহৃত কিছু সফটওয়্যার হলঃ
  • মাইক্রোসফট অ্যাকসেস (Microsoft Access)
  • মাইএসকিউএল (MYSQL)
  • মাইক্রোসফট মাইএসকিউএল সার্ভার (Microsoft MySQL Server)
  • ওরাকল (Oracle)
  • ফাইল মেকার প্রো (File Maker Pro)
  • ভিজুয়্যাল ফক্সপ্রো (Visual Foxpro)
  • আইবিএম ডিবি২ (IBM db2)

RDBMS এর ব্যবহার?

  • হাসপাতালে রোগীদের রেকর্ড সংরক্ষণে।
  • এয়ারলাইন্সের টিকিট বুকিং ও ফ্লাইটের শিডিউলিং ব্যবস্থাপনায়।
  • ব্যাংক, বিমা, ক্ষুদ্রঋণ ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের হিসাব নিকাশ সংরক্ষণে।
  • বিভিন্ন কর্ম প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রেকর্ড সংরক্ষণে।
  • তথ্যের পুনরাবৃত্তি দূর করার ক্ষেত্রে। 
  • ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের কাজে।
  • লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনার কাজে।
  • ব্যবসা বাণিজ্য ও ইলেকট্রনিক কমার্সের অনলাইনভিক্তিক লেনদেন সম্পন্ন করতে।
  • গবেষণা ও জরিপমূলক কাজে।
  • জনসংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণে।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের ইনফরমেশন অ্যান্ড রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরিতে। 
  • কর্পোরেট অফিসের ERP তৈরিতে।
  • কোন প্রতিষ্ঠানের ইনভেন্টারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরিতে।
Textile BD

Founder and Editor of Textile BD. He is a Textile Blogger & Entrepreneur. He is working as a textile job in Bangladeshi companies.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন