মাউস কি | মাউসের কাজ কি

মাউস হল একটি ইনপুট ডিভাইস। একে পয়েন্টিং ডিভাইসও বলা হয়। এটি নাড়াচাড়া করলে মনিটরের পর্দায় একটি তীর বা অন্য কোন চিহ্ন নড়াচড়া করে। একে মাউস পয়েন্টার বলে।
মাউস
মাউস

আর মাউস হতে নির্দেশ কম্পিউটারে পাঠানোর জন্য বোতাম বা বাটন থাকে। এ বোতাম চাপলে মাউস পয়েন্টারের অবস্থান অনুযায়ী প্রোগ্রাম কাজ করে।

মাউস কত প্রকার?

বাটন সংখ্যার উপর নির্ভর করে মাউস দুই ধরনের হয় যেমনঃ
  • দুই বা তিন বাটনের মাউস (আইবিএম কম্পিউটারের জন্য) এবং
  • এক বাটনের মাউস (মেকিনটোশ কম্পিউটারের জন্য)
এছাড়াও মাউস চলাচল নির্ণয়ের প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে মাউসকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়ঃ
  • যান্ত্রিক মাউস
  • আলোক যান্ত্রিক মাউস ও
  • আলোকীয় বা অপটিক্যাল মাউস
কম্পিউটার সিস্টেমের সঙ্গে মাউসের সংযোগ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে মাউসকে চার শ্রেণীতে ভাগ করা যায়ঃ
  • প্রোপ্রাইটারি মাউস 
  • তারবিহীন মাউস
  • সিরিয়াল মাউস 
  • বাস মাউস 
প্রধানত দুই ধরনের তারবিহীন মাউস পাওয়া যায়ঃ
  • ইনফ্রারেড তারবিহীন মাউস ও
  • রেডিও সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ তারবিহীন মাউস।

বর্তমানে কোন ধরনের মাউস বেশি ব্যবহার করা হয়?

বর্তমানে গ্রাহকরা ওয়ারলেস বা ব্লুটুথ মাউস বেশি ব্যবহার করে।

মাউস এর কাজ কি?

  • মাউসের সাহায্যে অপারেটিং সিস্টেমের সকল কাজ সুসম্পন্ন করা যায়।
  • দ্রুত ও সহজে টাইপ সেটিংয়ের কাজ মাউস দ্বারা সহজে করা যায়।
  • মাউসের সাহায্যে খুব কম সময়ের মধ্যে গ্রাফিক্স ড্রইং করা সম্ভব হয়।
  • মাউস দিয়ে ফর্ম্যাটিংয়ের কাজ অনেক দ্রুত করা যায়।
  • মাউসকে হাতের সাহায্যে সহজে ঘোরানো যায় বলে মনিটরে ঘুরে ঘুরে এর দ্বারা কাজ করা যায়।
  • যেকোন সমস্যার ফলাফল দ্রুত কাগজে ছাপানোর জন্য মাউস উত্তম মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে।
  • মাউসের সাহায্যে উইন্ডোজের ডেস্কটপ থেকে সরাসরি প্রোগ্রামে প্রবেশ করা যায়।

মাউস কত সালে আবিষ্কার হয়?

১৯৬৩ সালে মাউসের জনক ডগলাস এঙ্গেলবার্ট তৈরি করেছিলেন বিশ্বের সর্বপ্রথম কম্পিউটার-মাউস। এটি তৈরি করার পেছনে ছিল বিশ্বকে বদলে দেওয়ার এক অদম্য ইচ্ছা ও প্রয়াস। আর তিনি যখন মাউস উদ্ভাবন করছিলেন, তখন তিনি ছিলেন ৩০ বছরের যুবক।
Next Post Previous Post