ক্লাউড কম্পিউটিং কাকে বলে | ক্লাউড কম্পিউটিং কত প্রকার

ধরা যাক আপনাদের ঘরে ২০ জনের খাবার রান্না করার মতো হাড়ি, পাতিল এবং খাবার খাওয়ার জন্য থালা, বাসন এবং বসার জন্য চেয়ার টেবিল রয়েছে৷ আপনাদের বাসায় ১৫০ জন মেহমান আসবে৷ 

এজন্য আপনারা কি বাকি ১৩০ জনের জন্য হাড়ি, পাতিল ১৩০টি থালা এবং ১৩০টি চেয়ার কিনবেন? এতগুলো জিনিস কেনার জন্য অনেক টানা প্রয়োজন৷ এছাড়া এগুলো রাখার জন্য অনেক জায়গার প্রয়োজন৷
ক্লাউড কম্পিউটিং
ক্লাউড কম্পিউটিং

এক্ষেত্রে এত টাকা খরচ না করে নিকটস্থ কোন ডেকোরেটর থেকে এসব জিনিস যত সময়ের জন্য দরকার তত সময়ের জন্য ভাড়ায় আনা হয়৷ এতে করে নিজের প্রয়োজনও মিটে এবং অনেক টাকা খরচও বেঁছে যায়৷

ঠিক তদ্রুপ প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়৷ এ পদ্ধতিতে ক্লাউড কম্পিউটিং বলে৷

ইন্টারনেটনির্ভর কম্পিউটিং হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং৷ ক্লাউড কম্পিউটিং হল এমন একটি কম্পিউটিং প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট এবং কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা এবং এপ্লিকেশনসমূহ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম৷ 

এতে ওয়েবে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে৷ এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যবহারকারীকে ক্লায়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে৷ ধরা যাক একটি কোম্পানির ছয়টি সার্ভার দরকার৷ 

এগুলো ক্রয় করে সেটআপ করা এবং মেইনটেনেন্স করতে অনেক খরচ হবে৷ সবসময় এগুলোর ব্যবহার না হলেও খরচ কমানো যাবে না৷ 

কিন্তু কোম্পানিটি যদি ক্লাউড কম্পিউটিং সুবিধা নেয় (আমাজন ডট কমের ক্লাউডে m1.medium মেশিন ভাড়া নেয়) তাহলে ঘণ্টা হিসেবে বিল দিতে হলে খরচ অনেক কম হবে৷

যতক্ষণ ব্যবহার করা হবে ততক্ষণের বিল দিতে হবে৷ পাওয়ারফুল মেশিন চালাবার জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ বা মেশিন রুম ঠান্ডা রাখার দরকার নেই৷ লো কনফিগারেশনের কিছু মেশিন রাখলেই হবে। 

আর থাকতে হবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট৷ অফিসের এ লো পাওয়ার কম্পিউটারগুলো দিয়ে ক্লাউডের ভার্চুয়াল মেশিনগুলোকে এক্সেস করতে পারবেন৷ যেহেতু মেশিনগুলো আমাজনের সার্ভারে তাই সেগুলোর মেইটেন্যান্সের ঝামেলা নেই, খরচও নেই৷ 

হার্ডডিস্কসহ বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল মেমোরি ডিভাইসের ডেটা আগুনে পুড়ে যাওয়া নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রভৃতি ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখতে ক্লাউড কম্পিউটিং একটি কার্যকর পদ্ধতি৷

ক্লাউড কম্পিউটিং কাকে বলে?

ক্লাউড কোন নির্দিষ্ট প্রযুক্তি নয় বরং এটা একটা ব্যবসায়িক মডেল অর্থাৎ ক্লাউড কম্পিউটিং এ বেশকিছু নতুন পুরনো প্রযুক্তিকে বিশেষভাবে বাজারজাত করা হয় বা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়৷ 

যেসব ক্রেতার অল্প সময়ের জন্য কম্পিউটার দরকার বা তথ্য রাখার জায়গা দরকার কিন্তু অল্প সময়ের জন্য কম্পিউটার কেনার পেছনে অজস্র টাকা খরচের ইচ্ছে নেই তারা ক্লউডের মাধ্যমে ক্লউড সেবাদাতার কাছ থেকে কম্পিউটার বা স্টোরেজ স্পেস ভাড়া নেন৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং (NIST) অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং এর সংজ্ঞা নিম্নরূপঃ ক্লাউড কম্পিউটিং হল ক্রেতার তথ্য ও বিভিন্ন এপ্লিকেশকে কোন সেবাদাতার সিস্টেম আউটসোর্স করার এমন একটি মডেল যাতে ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকবেঃ
  • রিসোর্স স্কেলেবিলিটি
  • অন ডিমান্ড সেবা
  • পে অ্যাজ ইউ গো

রিসোর্স স্কেলেবিলিটি

ক্রেতা যতো চাবে সেবাদাতা ততোই অধিক পরিমাণে সেবা দিতে পারবে৷

অন ডিমান্ড সেবা

ক্রেতা যখন চাবে তখনই সেবা দিতে পারবে৷ ক্রেতা তার ইচ্ছায় যখন খুশি তার চাহিদা বাড়াতে কমাতে পারবে৷

পে অ্যাজ ইউ গো

ক্রেতাকে আগে থেকে কোন সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না৷ ক্রেতা যা ব্যবহার করবে তার জন্যই কেবল পয়সা দেবে৷ তাহলে এক বাক্যে বলা যায় কম্পিউটার ও ডেটা স্টোরেজ সহজে ক্রেতার সুবিধামতো চাহিবামাত্র এবং ব্যবহার অনুযায়ী ভাড়া দেয়ার সিন্টেমই হল ক্লাউড কম্পিউটিং৷ 

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে ক্লেতারা সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডারের ক্লাউডের সাথে যুক্ত হন৷ নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম আঁকার সময়ে ক্রেতা ও সার্ভারের মাঝের ইন্টারনেটের অংশটিকে অনেক আগে থেকেই মেঘের ছবি দিয়ে বুঝানো হতো৷ সে থেকেই ক্লাউড কম্পিউটিং কথাটি এসেছে৷

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ইতিহাস?

১৯৬০ সালে জন ম্যাক ক্যার্থি ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে মতামত দেন এভাবে কম্পিউটেশন একদিন সংগঠিত হবে পাবলিক ইউটিলিটি হিসেবে৷ তবে প্রকৃতপক্ষে এ ধারণা ভিত্তি লাভ করছে ১৯৯০ সালের দিকে৷ নব্বই এর দশকের শেষে বড় বড় কোম্পানি ইন্টারনেটে ব্যবসার আশায় বিশাল বিনিয়োগ করে ডেটা সেন্টার আর নেটওয়ার্কে৷ 

২০০০ সাল নাগাদ হঠাৎ করে পুরা ব্যবসাটাই ধ্বসে যায় ফলে অনেকে দেউলিয়া হয়ে পড়ে৷ তাদের ডেটা সেন্টারের মাত্র ৫% এর মতো ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং বাকিটা সময়ে সিস্টেম অলস হয়ে বসে থাকতো৷ 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া দিয়ে অলস বসে থাকা কম্পিউটারগুলোকে কাজে লাগানোর বুদ্ধি থেকেই শুরু হয় ক্লাউড কম্পিউটিং যুগের৷  ২০০৫ সাল থেকে আমাজন ডট কম ইলাস্টিক কম্পিউট ক্লাউড বা EC2 শুরু করে৷

এর পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি ক্লাউড কম্পিউটিংকে৷  আইবিএম মাইক্রোসফট গুগল থেকে শুরু করে প্রচুর কোম্পানি এখন ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার সাথে জড়িত৷

ক্লাউডের মডেল?

ক্লাউড কী সেবা দিচ্ছে তার ভিত্তিতে ক্লাউডকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
  • Infrastructure-as-a- Service (IaaS) বা অবকাঠামোগত সেবা
  • Plarform-as-a-Service (paaS) বা প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা
  • Software-as-a-Service (SaaS) বা সফটওয়্যার সেবা

IaaS: Infrastructure-as-a- Service (অবকাঠামোগত সেবা)

অবকাঠামো ভাড়া দেয়ার সার্ভিস৷ যেমন আমাজন ইলাস্টিক কম্পিউট ক্লাউড (EC2) এর উদাহরণ৷ EC2- তে ডেটা সেন্টারের প্রতি সার্ভারে ১ থেকে ৮টি ভার্চুয়াল মেশিন চলে ক্লায়েন্টরা এগুলো ভাড়া নেন৷ 

ভার্চুয়াল মেশিনে নিজের ইচ্ছেমতো অপারেটিং সিস্টেম বসানো চলে৷ এতে সুবিধা হল সবকিছু ইউজার নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন৷  আর অসুবিধা হল সবকিছুর ব্যবস্থা ইউজাকে নিজেকেই করতে হয়৷

PaaS: Plarform-as-a-Service (প্ল্যাটফর্মভিত্তিা সেবা)

এখানে সরাসরি ভার্চুয়াল মেশিন ভাড়া না দিয়ে ভাড়া দেয়া হয় প্ল্যাটফর্ম যার উপরে এ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন ইউজারেরা৷ যেমন গুগলের অ্যাপ ইঞ্জিন এর উদাহরণ৷ 

এ সার্ভিস ব্যবহার করলে গুগল তাদের এপিআই ব্যবহার করতে দেবে৷ সেটার সুবিধা অ্যাপ্লিকেশন বানাতে পারবে৷ এ অ্যাপ্লিকেশন চলবে গুগলের ক্লাউডে৷

SaaS: Software-as-a-Service (সফটওয়্যার সেবা)

সফটওয়্যার এজ এ সার্ভিস হল ক্লাউডভিত্তিক এমন একটা সেবা যেখানে ইউজারেরা ক্লাউডের উপরে চলছে এমন রেডিমেইড সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবে৷ যেমনঃ Google Docs. গুগল ডট দিয়ে মাইক্রোসফট অফিসের প্রায় সব কাজই করা যায়৷ (ডকুমেন্ট স্প্রেডশিট প্রেজেন্টশন)।

ক্লাউডের ডিপ্লয়মেন্ট মডেম?

ক্লাউডের ব্যবহারকারী কারা তার ওপরে ভিত্তি করে কয়েক রকমের মডেম চালু আছে৷ নিচে এগুলোর বর্ণনা দেয়া হলঃ

ক্লাউডের কত প্রকার ও কি কি?

ক্লাউড বিভিন্ন প্রকারের হতে পারেঃ
  • পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud)
  • কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud)
  • প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud)
  • হাইব্রিড ক্লাউড (Private Cloud)

পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud) কি?

পাবলিক ক্লাউড হল এমন ক্লাউড যা সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত৷ যে টাকা দেবে সেই সার্ভিস পাবে এমন ক্লাউডকে বলা হয় পাবলিক ক্লাউড৷ 

যেমনঃ আমাজনের EC2. এসব ক্লাউড সুবিধা হল যে কেউ এর সেবা নিতে পারে৷ আর অসুবিধাটা হল একই জায়গায় একাধিক ক্লায়েন্টের আনাগোনার ফলে নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে৷

কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud) কি?

কমিউনিটি ক্লাউডও শেয়ার করা হয় অনেকের মাঝে পাবলিক ক্লাউডের মতো যে টাকা দেয় সেই সার্ভিস পায়৷ তবে পার্থক্য হল একটি ক্ষুদ্রতর কমিউনিটির লোকজনই এর সুবিধা নিতে পারে৷ 

ধরা যাক ঢাকার কল্যাণপুর কলোনির লোকজনের চাহিদা মেটানোর  জন্য একটা ক্লাউড বসানো হল কেবল কল্যাণপুর কলোনিবাসীই এর সার্ভিস নিতে পারবে৷ 

তাহলে সেটা পাবলিক ক্লাউড না হয়ে হবে প্রাইভেট ক্লউড৷  কারণ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঐ এলাকার লোকজনেই এটা ব্যবহার করতে পারছে৷ 

সুবিধা হল কমিউনিটির মধ্যে ইউজার সীমাবদ্ধ থাকে বলে এখানে অনেক সমস্যা যেমন সিকিউরিটির সমস্যাগুলো নেই৷ আর অসুবিধা হল এখানে ক্লায়েন্টের সংখ্যা সীমিত বলে খরচ বেড়ে যাবে৷

প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud) কি?

প্রাইভেট ক্লউডকে ক্লাউড বলা চলে কিনা এ নিয়ে মতভেদ আছে৷ এ রকম ক্লউড হল কোন বড় সংস্থার নিজের নানা সার্ভিস চালাবার জন্য নিজের ডেটা সেন্টারকেই ক্লউড মডেলে ব্যবহার করা৷ 

সমস্যা হল এতে করে কিন্তু খরচ অনেক হচ্ছে নিজস্ব ডেটা সেন্টার বসাতে হচ্ছে ম্যানেজ করার জন্য লোক রাখা হচ্ছে৷ 

তবে বড় সংস্থার ক্ষেত্রে সুবিধাও আছে কোন বড় কোম্পানিতে ১০টি ডিপার্টমেন্ট থাকলে ১০টি ডেটা সেন্টার না বসিয়ে ১টিকেই ক্লাউড মডেলে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাচ্ছে৷ 

ধরা যাক বাংলাদেশ সরকার তার নানা মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার ব্যবহারের খরচ কমাতে চায়৷ সেক্ষেতে একটা সরকারি প্রাইভেট ক্লাউড ভালো সমাধান হতে পারে৷

হাইব্রিড ক্লাউড কি?

হাইব্রিড ক্লাউড হল পাবলিক আর প্রাইভেটের সংমিশ্রণ৷ এখানে প্রাইভেট ক্লউড দিয়ে প্রাথমিক চাহিদা মেটানো হয় আর প্রাইভেট ক্লউডের ধারণক্ষমতা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে পাবলিক ক্লাউডের সাহায্য নেয়া হয়৷

পাবলিক ক্লাউডের চেয়ে হাইব্রিড ক্লাউডের খরচ বেশি কারণ স্থানীয় স্থাপনাতো বানাতেই হচ্ছে এখানে৷ তবে স্থানীয়ভাবে কাজ করিয়ে নেয়ার সুবিধাগুলো থাকছে তার সাথে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোরও একটা ব্যবস্থা এখানে থাকছে পাবলিক ক্লাউড পাঠানোর মাধ্যমে৷

ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন?

ক্লাউড কম্পিটিং হচ্ছে একগুচ্ছ রিমোট সার্ভারের কম্পিউটার রিসোর্স। নিম্নলিখিত সুবিধার কারণে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয়ে থাকেঃ
  • সার্বক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য।
  • যেকোন সময় যেকোন স্থান থেকে তথ্য আপলোড ও ডাউনলোড করা যায়।
  • পরিচালনা ব্যয় কম ও কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট হয় ও খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, লাইসেন্স ফি এর জন্য অধিক পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় না।
  • কম সংখ্যক জনবল নিয়ে অধিক কাজ করার সুবিধা থাকে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা?

ক্লাউড ব্যবহার করে নানা রকমের অনলাইন সার্ভিসে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়ঃ
  • অপারেটিং খরচ কমানো
  • প্রায় সীমাহীন স্টোরেজ সুবিধা
  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ
  • সহজে তথ্য প্রবেশাধিকার
  • সফটওয়্যার খরচ কম
  • সহজ প্রাপ্যতা
  • ছোট ও প্রাথমিক উদ্যেক্তাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ
  • বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী/গবেষকদের সুবিধা
  • সহজ পরিবর্তন

অপারেটিং খরচ কমানো

ক্লাউড ব্যবহার করে অপারেটিং খরচ (Operating cost) যথেষ্ট পরিমাণ কমানো সম্ভব৷

প্রায় সীমাহীন স্টোরেজ সুবিধা

ক্লউড স্টোরেজ নিয়ে কোন চিন্তা নেই৷ যখন যত দরকার সুলত মূল্যে তখন তত স্টোরেজ সুবিধা পাওয়া যাবে৷ এখানে প্রায় সীমাহীন স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে৷

স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ

ক্লাউড স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা থাকে বিধায় সার্ভিস গ্রহণকারী গ্রাহকের এসব বিষয় নিয়ে কোন চিন্তা করতে হয় না৷

সহজে তথ্য প্রবেশাধিকার

ক্লাউড রেজিস্ট্রিকৃত গ্রাহকরা তার ডেটাবেজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন অবস্থান থেকে যে কোন সময় ডেটা একসেস করতে পারে৷

সফটওয়্যার খরচ কম

ক্লউড কম্পিউটিং এর গ্রাহক সফটওয়্যার সার্ভিসসহ সার্ভিস নিলে প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যারও সুলভে ব্যবহার করতে পারবে৷

সহজ প্রাপ্যতা

ক্লউড কম্পিউটিং এর গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভিস নিতে পারে৷ শুরুতে একটি সার্ভার ভাড়া নিয়ে প্রয়োজনে যে কোন সময় একশটি সার্ভারও ভাড়া নিতে পারবে৷ ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে বিল দিতে হবে৷ কম ব্যবহার করলে কম বিল দিতে হবে৷

নিরাপত্তা

ক্লউড কম্পিউটিং সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিগরি দক্ষতা ব্যাকআপ ক্যাপাসিটি অনেক বেশি৷ তাই কোন ছোট প্রতিষ্ঠানের স্থাপিত নিজস্ব সেটআটের চেয়ে এগুলো বেশি নিরাপত্তা৷

ছোট ও প্রাথমিক উদ্যেক্তাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ

একটি ছোট বা মাঝারি মানের প্রতিষ্ঠানের জন্য কয়েক লাখ টাকা দিয়ে একটি সার্ভাস কেনা তা রক্ষণাবেক্ষণ জন্য ভালো বেতন দক্ষ লোক রাখা সফটওয়্যার সাহায্য করতে পারে৷

বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী/গবেষকদের সুবিধা

অনেকসময় বিজ্ঞাননীদের গবেষণার জন্য সাময়িকভাবে বিশাল কম্পিউটিং সুবিধা প্রয়োজন হয় যা প্রতিষ্ঠা করা অনেক ব্যয়সাপেক্ষ৷ এক্ষেত্রে ক্লাউড সুবিধা নিয়ে কাজ করতে পারে৷

সহজ পরিবর্তন

প্রচলিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা কঠিন৷ কারণ এতে অনেক লোকবল ও অর্থনৈতিক বিষয় ডড়িত থাকে৷ কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে এ ধরনের কোন সমস্যা নেই৷

ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা?

  • নিরাপত্তা
  • সার্ভার ডাউন
  • ফি প্রদান
  • ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ
  • ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীলতা
  • প্রশিক্ষণ
  • স্টোরেজ লিমিট
  • স্লো স্পিড

নিরাপত্তা

সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না বিধায় তথ্যের নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম৷

সার্ভার ডাউন

মেইনটেন্যান্স বা হ্যাকিং অথবা অন্য কোন কারণে সার্ভার ডাউন হলে সম্পূর্ণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়৷

ফি প্রদান

নির্ধারিত সময় অন্তর নির্ধারিত ফি দিতে হয় না দিলে এ সার্ভিস বন্ধ করে দিলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়৷

ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ

প্রোগ্রাম বা এ্যাপ্লিকেশনের ওপর ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ কম থাকে বা থাকে না৷

ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীলতা

যেহেতু এ পদ্ধতি সম্পূর্ণ ইন্টারনেটভিত্তিক৷ তাই ইন্টারনেট কানেকশনে কো সমস্যা হলে অথবা গতি স্লো হলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়৷

স্টোরেজ লিমিট

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্টোরেজের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকে৷

প্রশিক্ষণ

সাধারণত কর্মীদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়৷

স্লো স্পিড

বড় ফাইল আপলোড বা ডাউনলোড ধীর গতির হতে পারে৷
Textile BD

Founder and Editor of Textile BD. He is a Textile Blogger & Entrepreneur. He is working as a textile job in Bangladeshi companies.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন