কম্পিউটারের সহজে ব্যবহারের জন্য বিশেষ ভাষাকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা বা অতি উচ্চতরের ভাষাও বলা হয়৷ রিপোর্ট ও পর্দায় ফলাফলের গঠন ডেটা রেকর্ড ইনপুট ডেটা প্রভৃতি নির্দিষ্টকরণে সরল কুয়েরি নির্দেশ ব্যবহারের ক্ষমতা চতুর্থ প্রজন্মের ভাষার বৈশিষ্ট্য৷
4gl |
এ ভাষায় একটি নির্দেশ দিয়ে খুব সহজে অনেক কাজ করা যায়৷ প্রধানত বাণিজ্যিক প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত এসব ভাষাকে অনেক সময় এপ্লিকেশন জেনারেটর বলা হয়৷
এ ভাষায় ইংরেজি ভাষার মত নির্দেশ দিয়ে কম্পিউটার ব্যবহারকীর ডেটাবেজের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং ডেটা আদান প্রদান করতে পারেন৷ চতুর্থ প্রজন্মের ভাষায় কথোপকথন রীতিতে প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারকারীর যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকে৷
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট কুয়েরি এবং রিপোর্ট জেনারেটর ও ডেটা সঞ্চালনের জন্য ব্যবহৃত ভাষাসমূহ চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ যেমনঃ Structured Query Language (SQL) Oracle ইত্যাদি৷
4GL এর বৈশিষ্ট্য?
- এ ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কোন পরিবর্তন ছাড়াই অন্য কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়৷
- এটি অনেকটা ন্যাচারাল বা স্বাভাবিক ভাষার মতো৷
- ডেটা সংরক্ষণ কয়েরি রিপোর্ট তৈরি ইত্যাদি কাজ খুব সহজেই করা যায়৷
- এটি ইন্টারঅ্যাকটিভ মোড কর্মক্ষেম৷
- প্রোগ্রামিং প্রসেসকে সহজ করে৷
- উচ্চতর ভাষার তুলনায় 4GL খুবই সহজ বোধগম্য ও ব্যবহারযোগ্য৷
- 4GL এর সাহায্যে সহজেই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়৷
- একটি কমান্ড লেখার সাথে সাথে কম্পাইল হয়ে যায়৷ পুরো প্রােগ্রাম একবারে কম্পাইল করতে হয় না৷
- এ ল্যাংগুয়েজে করা প্রােগ্রাম রান করতে সময় বেশি লাগে৷
- সফটওয়্যার ডেভলপ করতে সময় অর্থ এবং শ্রম কম লাগে৷
চতুর্থ প্রজন্মের ভাষার অসুবিধা?
- অনেক বেশি মেমোরির প্রয়োজন হয়৷
- প্রোগ্রামের আকার অধিকাংশ সময়ে বড় হয়৷
- এটি হার্ডওয়্যারের ক্যাপাসিটির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল
- অনেক বেশি Disk space এর প্রয়োজন হয়৷