ওয়েবসাইট কি ও কত প্রকার

একই ডোমেইনের অধীন একাধিক ওয়েবপেজের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলা হয়৷ ধরা যাক রাফখাত্য নামক www.textilebd.xyz ওয়েবসাইটটিতে কতগুলো ওয়েবপেজ যেমনঃ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার ভর্তি পরীক্ষার আসন ও মান সাফল্য ও স্বপ্নগাঁথা সচরাচর প্রশ্ন এবং অন্যান্য বিভিন্ন পেজ রয়েছে যেগুলো লিংক দ্বারা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত৷
ওয়েবসাইট
ওয়েবসাইট

তবে Ask.com এর সংজ্ঞানুসারে ওয়েবসাইট হলঃ (A website is a collection of related webpages and they contain texts images and other graphics that users can view)। ওয়েবসাইটে প্রথম ঢুকলে যে পেজটি প্রদর্শিত হয় সেটিকে হোমপেজ বলা হয়৷ 

ইন্টারনেটে সার্বক্ষণিক যুক্ত সার্ভারে ওয়েবসাইট রাখা হয়৷ ওয়েবসাইটকে যেখানে হোস্ট করা হয় তাকে ওয়েবসার্ভার বলা হয়৷ মাইক্রোসফটের ওয়েব সার্ভার হল internet Information Services (IIS)৷ 

ইন্টারনেট ওয়েবসাইটটি যে সার্ভারে রাখা হবে তার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকে৷ একটি ইউআরএল (URL) Uniform Resource Locator বা ওয়েব এ্যাড্রেস বলা হয়৷ 

সারা বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে৷ কোন ওয়েবসাইট যে বিষয়ের সে বিষয়ে কেউ সার্চ করলে সার্চ তালিকায় ঐ ওয়েবসাইটের লিংক চলে আসার ব্যবস্থা করা যায়৷
 
এতে করে কেউ শুধু নির্দিষ্ট কোন ওয়েব টিকানা ব্যবহার না তরেও তার প্রয়োজনীয় কোন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য সার্চ করে ঐ বিষয় সম্পর্কিত যে কারো ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারে৷ 

প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি হয় ১৯৯১ সালের ৬ই আগস্ট৷ ইন্টারনেট একটি ওয়েবসাইট খুলতে যা যা করতে হয়ঃ
  • প্রথমে একটি ডোমেইন নেম রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে৷
  • ওয়েবপেজগুলো ডিজাইন করতে হবে৷
  • ওয়েবপেজগুলো সার্ভারে রাখতে হবে৷
  • ওয়েবসাইটটি আরো বেশি প্রচারমুখী করার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিশন করতে হবে৷

ওয়েবসাইট কত প্রকার ও কি কি?

গঠন বৈচিত্র্যের উপর ভিত্তি করে পেজ বা ওয়েবসাইটকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়ঃ
  • স্যাটিক ওয়েবপেজ বা স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট (Static Webpage or static Website)
  • ডাইনামিক ওয়েবপেজ বা ডাইনামিক ওয়েবসাইট (Daynamic Webpage or Dynamic Website)

স্যাটিক ওয়েবপেজ বা স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট (Static Webpage or static Website) কি?

যে সকল ওয়েবপেজে পূর্ব থেকে তৈরিকৃত কিছু তথ্য প্রদর্শন করে থাকে সে সকল ওয়েবপেজকে স্ট্যাটিক ওয়েবপেজ বলে৷ স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েবপেজ লোডিং বা চালু করার পর পরিবর্তন করা যায় না৷ 

সাধারণত HTML ভাষা ব্যবহার করে স্ট্যাটিক ওয়েবপেজ তৈরি করা হয়৷ স্ট্যাটিক ওয়েব পেইজের ফাইলের নামের বর্ধিতাংশ "htm" অথবা "html"।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সুবিধা/বৈশিষ্ট্যসমূহ?

  • পেজগুলোতে কনটেন্ট নির্দিষ্ট থাকে৷
  • দ্রুত লোডিং হয়৷
  • উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা সহজ৷
  • সাধারণত কোন ডেটাবেজ সংযোগ থাকে না৷
  • HTML এবং CSS ভাষা ব্যবহার করে উন্নয়ন করা যায়৷
  • রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন খরচ কম৷
  • তুলনামূলকভাবে বেশি নিরাপদ৷

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের অসুবিধাসমূহ?

  • রান টাইমে কনটেন্ট আপডেট করা যায় না৷
  • কনটেন্ট আপডেট করতে বেশি সময় লাগে৷
  • আপডেট করে পুনরায় আপলোড করতে হয়৷
  • ব্যবহারকারী থেকে ইনপুট নেয়া যায় না৷
  • আকার বৃদ্ধি পেলে কনটেন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে
  • মানসম্মত ওয়েবপেজ ডিজাইনিং করা কঠিন৷

ডাইনামিক ওয়েবসাইট (Daynamic Webpage or Dynamic Website) কি?

যে সকল ওয়েবপেজ আপডেট তথ্য প্রদর্শন করে অর্থাৎ পরিবর্তিত তথ্য প্রদর্শন করে সে সকল ওয়েবপেজকে ডাইনামিক ওয়েবপেজ বলা হয়৷ ডাইনামিক ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েবপেজ লোডিং বা চালু করার পর পরিবর্তন করা যায়৷ 

এ ওয়েবসাইটের সাথে ডেটাবেজ যুক্ত থাকে৷ যেমন ক্রিকেট লাইভ স্কোর৷  সাধারণত PHP, ASP, JSP ভাষা ব্যবহার করে ডাইনামিক ওয়েবপেজ তৈরি করা হয়৷ ডাইনামিক ওয়েবপেজের ফাইলের নামের বর্ধিতাংশ PHP, ASP৷ 

ডাইনামিক ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের নিকট হতে ইনপুট দেয়ার ব্যবস্থা থাকে৷ বর্তমানে এ ধরনের ওয়েবসাইটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি৷

ডাইনামিক ওয়েবসাইটের সুবিধা/বৈশিষ্ট্যসমূহ?

  • রান টাইমে কনটেন্ট আপডেট করা যায়৷
  • ব্যবহারকারী থেকে ইনপুট নেয়া যায়৷
  • আপডেট করে পুনরায় আপলোড করতে হয় না৷
  • আকার বৃদ্ধি কনটেন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন নয়৷
  • মানসম্মত ওয়েবপেজ ডিজাইনিং করা সহজ৷
  • ডেটাবেজ ব্যবহার করায় কুয়েরি করে তথ্য বের করা যায়৷
  • ই কমার্স সুবিধা বেশি৷

ডাইনামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধাসমূহ?

  • ডেটাবেজ ব্যবহৃত হওয়ায় লোডিং হতে সময় বেশি লাগে৷
  • উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলক জটিল৷
  • দক্ষ জনবল প্রয়োজন৷
  • খরচ বেশি৷
  • ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য অপ্রয়োজনীয়৷
  • তুলনামূলকভাবে প্রশিক্ষণ কঠিন৷

অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ওয়েবপেজ কত প্রকার ও কি কি? 

  • অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ওয়েবপেজ দুই প্রকারঃ
  • লোকাল ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইট (Local Webpage or website)
  • রিমোট ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইট (Remote Webpage or Website)

লোকাল ওয়েবপেজ কি?

যে সকল ওয়েবপেজ সাধারণত নিজস্ব কম্পিউটার বা সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয় এবং সোর্স ড্রাইভ ও ডিরেক্টরি থেকে সহজেই ব্যবহার করা যায় সেগুলোকে লোকাল ওয়েবপেজ বলা হয়৷ এ ধরনের ওয়েবপেজ ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না৷

রিমোট ওয়েবপেজ কি? 

দূরবর্তী কোন কম্পিউটার/ওয়েব সার্ভারে সংরক্ষিত ওয়েবপেজগুলোকে রিমোট ওয়েবপেজ বলা হয়৷ রিমোট ওয়েবপেজ ডাউনলোড করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয়৷ 

এ ধরনের ওয়েবপেজ ব্রাউজিং এর জন্য ওয়েব অ্যাড্রেস জানার প্রয়োজন হয়৷ এরূপ অ্যাড্রেসকে URL (Universal Resource Locator) বলা হয়৷

স্যাটিক ওয়েবসাইট এবং ডাইনামি ওয়েবসাইট এর মধ্যকার পার্থক্য?

  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট (Static websites)
  • নির্দিষ্ট সংখ্যক পেজ থাকে৷
  • ওয়েবসাইটের থিম এবং ওয়েবপেজের কন্টেন্ট নির্দিষ্ট৷
  • কয়েকটি মাত্র মার্কআপ কন্টেন্ট থাকায় দ্রুত লোড হয়৷
  • কখনো ডেটাবেজ কানেক্টিভিটি ব্যবহার করে না৷
  • তুলনামূলকভাবে বেশি নিরাপদ
  • কোন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রদর্শন করে৷ সরাসরি রান করে৷ 
  • অন্য সার্ভার ল্যাংগুয়েজের প্রয়োজন হয় না৷ সাধারণত  HTML এবং CSS দিয়ে তৈরি করা হয়৷
  • ডেভল করা সহজ৷
  • পরিবর্তন করলে পুনরায় সার্ভারে আপলোড করতে হয়৷

ওয়েবপেজ ডিজাইন করা (Webpage Design) কি?

ওয়েবসাইট তথা ওয়েবপেজ তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের ল্যাগুয়েজ বা কোড হচ্ছে HTML। HTML এর পুরো অর্থ হল Hyper Trxt Markup Language প্রকৃত অর্থে এটি কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নয়।

 বরং একটি মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ যা এক সারি মার্কআপ ট্যাগ এর সমন্বয়৷  ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে বর্ণনা করার জন্য এসব মার্কআপ ট্যাগগুলোকে HTML ব্যবহার করে থাকে৷ 

সহজে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন টুলস রয়েছে৷ এসব টুল দিয়ে ডিজাইনকৃত ওয়েবপেজ HTML এ কনভার্ট হয়ে থাকে৷

ওয়েবসাইটের কাঠামো (Website structure) কি?

যে অবকাঠামোতে একটি ওয়েবসাইটের সকল তথ্য বা বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয় তাকে ওয়েবসাইটের কাঠামো বলে৷ ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পেজ থাকে৷ প্রতিটি পেজে বিভিন্ন উপাদান থাকে৷ 

ওয়েবসাইটের অন্তর্গত বিভিন্ন পেজগুলো সাজানোর লেআউট হল ওয়েবসাইটের কাঠামো৷ লেআউট হল একটি পেজের প্রধান কন্টেন্ট এরিয়ার স্ট্রাকচার বা অবকাঠামো৷ 

যেমন টাইটেল হেডিং প্রধান কন্টেন্ট ফুটার ইত্যাদি কোনটি কোথায় কীভাবে স্থাপিত হবে তার পরিকল্পনা বা ছককে লেআউট বলা হয়৷ একটি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট তৈরি করা অনেক সময়সাপেক্ষ৷ 

তাই সাইট তৈরি করার পূর্বেই এর বিভিন্ন উপাদানগুলো কীভাবে সজ্জিত হবে তার একটি লেআউট তৈরি করে নিলে কাজের সুবিধা হয়৷ ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজগুলো লিংক করা থাকে৷ 

একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে প্রথম কোন পেজটি প্রদর্শিত হবে সেখান থেকে অন্যান্য পেজে কীভাবে যাওয়া যাবে তা ওয়েবসাইটের কাঠামোতে ঠিক করা হয়৷ অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি কীভাবে কাজ করে তার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে ওয়েব কাঠামো নামে অভিহিত করা হয়৷

ওয়েবসাইটের কাঠামোর অংশ?

একটি ওয়েবসাইটের কাঠামো মূলত তিন ভাগে বিভক্ত থাকেঃ
  • মূল পেজ
  • মূলধারার পেজ
  • উপ ধারার পেজ

মূল পেজ/হোম পেজ কি? 

ওয়েবসাইট চালু করলে প্রথম যে পেজ লোড হয় তাকে মূল পেজ বলা হয়৷ ব্রাউজার প্রথমে এ পেজটি লোড করে৷ মূল পেজ হল এ ধরনের সূচি৷ 

এ পেজে মূল প্রোগ্রাম ব্যানার এনিমেশন যুক্ত থাকে৷ এখানে মেনু তৈরি করে অন্যান্য পেজের সাথে যুক্ত থাকে৷

মেইন সেকশন বা মূল ধারার পেজ কি?

হোম পেজ বা মূল পেজের পরের ওয়েবপেজগুলোকে মূল সেকশন বলা হয়৷ মূল সেকশন কযেকটি পেজ নিয়ে গঠিত হয়৷

সাব সেকশন বা উপাধারার পেজ কি?

কোন পেজ মূল পেজ থেকে মূল সেকশন ও মূল সেকশন থেকে আবার অনেকগুলো পেজের সাথে যুক্ত থাকে তাকে উপ সেকশন বলা হয়৷ মূল পেজ থেকে মূল সেকশন এবং মূর সেকশন থেকে উপ সেকশনে পেজের সংখ্যা বৃষ্টি পেতে থাকে এবং লেখার পরিমাণও বাড়তে থাকে৷

ওয়েবসাইট কাঠামোর প্রকারভেদ (Types of Website structure)

একটি ওয়েবসাইটের গঠনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়  ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এর কাঠামোকে নিম্নোক্ত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
  • হায়ারারকিক্যাল বা ট্রি (Hierarchical of Tree structure)
  • নেটওয়ার্ক বা ওয়েব লিংকড (Network or Web Linked Structure) 
  • লিনিয়ার বা সিকুয়েন্স(Linear or sequence structure)
  • হাইব্রিড বা কম্বিনেশন (Hybrid or Combination structure)

হায়ারারকিক্যাল বা ট্রি কাঠামো (Hierarchical or Tree structure) কি?

যে ওয়েবসাইটের পেজগুলো শাখা প্রশাখায় সাজানো থাকে তাকে ট্রি বা হায়ারারকিক্যাল কাঠামো বলা হয়৷ এ পদ্ধতিতে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন শাখাগুলোকে আলাদাভাবে সংযুক্ত করা হয়ে থাকে৷ 

হোমপরজ সাব মেনু ও অন্যান্য পেজের লিংক থাকে৷ এতে করে ওয়েবসাইটের ভিজিটররা সহজেই বুঝতে পারে কোন অংশে তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো রয়েছে৷ 

বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট স্কুল কলেজ ব্যাংক বীমা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এ ধরনের হয়ে থাকে৷ বহুস্থরে বিন্যস্ত ওয়েবপেজসমূহ নিয়ে তৈরি ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এ ধরনের কাঠামো ব্যবহৃত হয়৷

নেটওয়ার্ক কাঠামো বা ওয়েবলিংকড (Network structure or web Linked) কি?

যে ধরনের ওয়েবসাইট কাঠামোতে সবগুলো পেজেরই একে অপরের সাথে লিংক থাকে তাকে নেটওয়ার্ক কাঠামো বলা হয়৷ এতে একটি মেইন পেজের সাথে যেভাবে অন্যান্য পেজের যেমন লিংক থাকে ঠিক তেমনি অন্যান্য পেজের সাথেও মেইন পেজের লিংক থাকে৷ 

ফ্রেম ব্যবহার করে তৈরি করা ওয়েবসাইটগুলো এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লিংক করা হয়ে থাকে যাতে একটি ফ্রেমে মধ্যে অন্যান্য পেজের লিংকগুলো মেনু আকারে রাখা হয়৷ 

এই ফ্রেমটি সাধারণত স্থির থাকে এবং কোন একটি লিংক নির্বাচন করলে ঐ পেজটি অপেক্ষাকৃত বড় ফ্রেমের মধ্যে দেখায়৷

লিনিয়ান কাঠামো বা সিকুয়েন্স (Linear or Sequence structure) কি?

কোন ওয়েবসাইটের পেজগুলো ক্রমানুসারে করার স্ট্রাকচার বা কাঠামোকে লিনিয়ার স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়৷ কোন পেজের পর কোন পেজ আসবে তা ওয়েবপেজ ডিজাইন করার সময় ঠিক করা হয়ে থাকে৷ 

এ ধরনের পেজগুলোতে সাধারণত Next Previous Last First ইত্যাদি লিংক ব্যবহার করা হয়৷ এ পদ্ধতিতে পেজগুলো একটির পর আরেকটি এভাবে সিকুয়েন্স অর্ডার অনুযায়ী লিংক করা থাকে৷

সাধারণত প্রোগ্রামিং বা ট্রোনিং সাইটে এ ধরনের স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়৷ ডকুমেন্টটি খুব বড় না হলে অর্থাৎ পেজের সংখ্যা যদি কম হয় তবে লিনিয়ার স্ট্রাকচার ব্যবহার করা ভালো৷ এতে করে ডকুমেন্টটির যে কোন অংশকে সহজেই খুঁজে বের করা যায়৷

হাইব্রিড বা কম্বিনেশন কাঠামো কি?

একাধিক স্ট্রাকচার ব্যবহার করে ডিজাইনকৃত ওয়েবসাইটকে হাইব্রিড বা কম্বিনেশন বা মিক্সড স্ট্রাকচার বলা হয়৷ অনেক সময় লিনিয়ার কাঠামো এবং হায়ারারকিক্যাল কাঠামোর মাধ্যমে মিশ্র কাঠামো তৈরি করা যায়৷ 

একাধিক স্ট্রাকচার ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি ভিজিটরদের জন্য ভিজিট করাও সহজ হয়৷

ওয়েবসাইটের সুবিধা (Advantages of website)

বর্তমান ইন্টারনেটের এ যুগে সবচেয়ে স্বল্প খরচে তথ্য প্রকাশ করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যমে হল ওয়েবসাইট৷ ওয়েবসাইটের বহুবিধ সুবিধা রয়েছেঃ
  • স্বল্প ব্যয়ে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসায় প্রসারের জন্য ওয়েবসাইট প্রকাশ করতে পারে৷ 
  • প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে অনেক কম খরচে আকর্ষণীয় সাইট তৈরি করা যায়৷
  • ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য যে কেউ যে কোন স্থান থেকে যেকোন সময় দেখতে পারে৷
  • ওয়েবসাইটে লেখার পাশাপাশি ছবি গ্রাফিক্স অডিও ভিডিও এবং এনিমেশন যুক্ত করা যায়৷
  • ওয়েবসাইটে তাৎক্ষণিক তথ্য প্রকাশ করা যায়৷
  • ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের অনেক সময় বাঁচায়৷
  • ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ডাউনলোড করা যায়৷
  • যেকোন তথ্য জানার সবচেয়ে সহজ মাধ্যমে হল ওয়েবসাইট৷ 
  • যে কোন বিষয় যেমন কোন স্থানের তাপমাত্রা রেলের ও প্লেনের সময়সূচি ভাড়া ইত্যাদি জানা যায়৷
  • কোন প্রোডাক্ট বা কোন বিষয় সম্পর্কে ব্যবহাকারীদের কাছ থেকে মতামত জানা যায়৷
  • ঘরে বসে থেকে কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়া যায়৷
  • বিশ্বের নামকরা বড় বড় লাইব্রেরির সাইটে ঢুকে বই পড়া যায়৷
  • কোন প্রতিষ্ঠানে সরাসরি না গিয়ে তাদের সাইটে ঢুকে ফর্ম ফিলআপ করা যায়৷ 
  • এতে করে সময় ও অর্থ বাঁচে৷
  • ঘরে বসে বাস ট্রেন প্লেনের টিকিট কাটা যায়৷
  • হসপিটালের বা হোটেলের সাইটে ঢুকে রুম বুকিং দেয়া যায়৷
  • সামাজিক বিভিন্ন সাইটের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের সাথে মতবিনিময় করা যায় এবং বন্ধুত্ব করা যায়৷
  • সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম অল্প খরচে করা যায়৷ 
  • এছাড়াও আরো অনেক কাজ করা যায়৷

ওয়েবপেজের উপাদান (Contents of webpage) কি?

ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যেমন টেক্সট বা লেখা গ্রাফিক্স অডিও ভিডিও ডেটাবেজ ফাইল সরাসরি যুক্ত থাকতে পারে অথবা লিংক করা থাকতে পারে৷ এসব বিষয় হল ওয়েবসাইটের কন্টেন্টস বা উপাদান৷

ওয়ার্ল্ড ওযাইড ওয়েব (WWW World Wide wed) কি?

WWW এর পূর্ণরুপ হল World wide web৷ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকে সংক্ষেপে ওয়েব নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে৷ WWW হলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা পরস্পর সংযোগযোগ্য ডকুমেন্টের সাধারণ নাম৷ 

এসব ডকুমেন্টের সাধারণ পরিচিতি হল ওয়েবপেজ৷ ওয়েব ব্রাউজার সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা ওয়েবপেজ পরিদর্শন করা যায়৷ সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইটগুলোকে সমষ্টিগতভাবে World wide wed বা বিশ্বব্যাপী জাল নাম দেয়া হয়েছে৷ 

সারা বিশ্বের সমস্ত ওয়েবপেজের সংগ্রহকেই ওয়েব বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বলা হয়৷ হাইপারটেক্সট সিস্টেমগুলোর ধারণাকে কাজে লাগিয়ে ইংরেজ পদার্থবিদ স্যার টিম বার্নার্স লি ১৯৮৯ সালের মার্চে একটি প্রস্তাব লিখেন যা পরবর্তীতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এ রূপ লাভ করে৷
Textile BD

Founder and Editor of Textile BD. He is a Textile Blogger & Entrepreneur. He is working as a textile job in Bangladeshi companies.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন