নেটওয়ার্ক টপোলজি কি এর প্রকারভেদ চিত্রসহ বর্ণনা কর

 একটি নেটওয়ার্ক কম্পিউটার এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিগুলো একে অপরের সাথে কিভাবে যুক্ত সেই পদ্ধতিই হল নেটওয়ার্ক টপোলজি৷ কয়েকটি কম্পিউটার বিক্ষিপ্তভাবে তার দিয়ে জোড়া দিয়ে দিলেই একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে যায় না।

 বরং নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলোকে এমনভাবে যুক্ত করা প্রয়োজন যেন সংযোগকারী তারের মাধ্যমে ডাটা আদান প্রদান সহজসাধ্য এবং সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য হয়৷
নেটওয়ার্ক টপোলজি
নেটওয়ার্ক টপোলজি

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতিগুলোর ভৌত সংযোগ বিন্যাস এবং নির্বিঘ্নে ডেটা আদান প্রদানের যুক্তনির্ভর সুনিয়ন্ত্রিত পথের পরিকল্পনা এ দুয়ের সমন্বিত ধারণাকে বলা হয় নেটওয়ার্ক টপোলজি৷
একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কম্পিউটার ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি থাকতে পারে৷ নেটওয়ার্কে সংযুক্ত প্রতিটি যন্ত্রের (কম্পিউটার, প্রিন্টার ও অন্যান্য পেরিফেরাল যন্ত্র) সংযোগস্থলকে সাধারণভাবে নোড নামে অভিহিত করা হয়৷ 

নেটওয়ার্ক টপোলজি কাকে বলে?

একটি নেটওয়ার্কের ফিজিক্যাল ডিভাইস বা কম্পোনেন্ট যেমনঃ ক্যাবল, পিসি, রাউটার ইত্যাদি যেভাবে নেটওয়ার্কে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে নেটওয়ার্ক টপোলজি বলে৷ 

নেটওয়ার্ক টপোলজি মূলত নেটওয়ার্কের ফিজিক্যাল লেআউটের বর্ণনা করে থাকে৷ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর জন্য মূলত ছয় ধরনের টপোলজি ব্যবহৃত হয়৷ এগুলো হচ্ছেঃ
  • বাস টপোলজি (Bus Topology)
  • স্টার টপোলজি (Star Topology)
  • রিং টপোলজি (Ring Topology)
  • ট্রি টপোলজি (Tree Topology)
  • মেশ টপোলজি (Mesh Topology)
  • হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology)

বাস টপোলজি 

যে টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলা হয়৷ বাস টপোলজি প্রাধান ক্যাবলটিকে বলা হয় ব্যাকবোন৷ 

সিগন্যাল যখন ব্যাকবোনে চলাফেরা করে তখন শুধু প্রাপক কম্পিউটার সিগন্যাল গ্রহণ করে বাকিরা একে অগ্রাহ্য করে৷ এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত৷ 

এ সংগঠনে কোন কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না৷ বাস টপোলজিতে একই নেটওয়ার্ক ভিন্ন ক্যাবল ব্যবহৃত হতে পারে৷

বাস টপোলজি এর সুবিধা?

  • এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ ও এটি বিশ্বস্ত৷
  • এ টপোলজিতে সবচেয়ে কম ক্যাবল প্রয়োজন হয় ফলে এতে খরচও সাশ্রয় হয়৷
  • প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন সম্প্রসারণ করা যায়৷
  • এ সংগঠনে কোন কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না৷
  • এ সংগঠনে কোন কম্পিউটার বা যন্ত্রপাতি যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয় না৷

বাস টপোলজি এর অসুবিধা?

  • নেটওয়ার্ক কম্পিউটার সংখ্যা বেশি হলে ডেটা ট্রান্সমিশন বিঘ্নিত হয়৷
  • ডেটা ট্রান্সমিশন হতি কম৷
  • নেটওয়ার্কে সৃষ্ট সমস্যা নির্ণয় তুলনামূলক বেশ জটিল৷
  • সূল ক্যাবলের একটিমাত্র স্থানে সৃষ্ট ক্রটি পুরো নেটওয়ার্ককে অচল করে দিতে পারে৷

রিং টপোলজি

রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার তার পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে৷ আর এ ব্যবস্থায় কোন কম্পিউটার ডেটা পাঠালে তা বৃত্তাকার পথে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ না নির্দিষ্ট কম্পিউটার ডেটা গ্রহণ করে এ ব্যবস্থায় কোন কেন্দ্রীয় কম্পিউটার থাকে না৷ 

এতে প্রতিটি কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান৷ রিং টপোলজিতে যেহেতু প্রতিটি কম্পিউটার ধারাবাহিকভাবে বৃত্তাকারে সংযুক্ত থাকে৷ তাই এক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের প্রথম কম্পিউটারটি শেষ কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে৷

রিং টপোলজি ব্যবহারের সুবিধা?

  • এ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় কোন কম্পিউটার বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না৷
  • নেটওয়ার্কে অবস্থিত প্রতিটি কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান৷
  • নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যা বাড়লেও এর দক্ষতা খুব বেশি প্রভাবিত হয় না৷

রিং টপোলজি ব্যবহারের অসুবিধা?

  • নেটওয়ার্কের একটিমাত্র কম্পিউটার সমস্যায় আক্রান্ত হলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে৷
  • রিং টপোলজির নেটওয়ার্কে সমস্যা নিরূপণ বেশ জটিল৷
  • নেটওয়ার্কে কোন কম্পিউটার যুক্ত করলে বা সরিয়ে নিলে তা পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত করে৷

স্টার টপোলজি

যে টপোলজি একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে তাকে স্টার টপোলজি বলা হয়৷ 

এক্ষেত্রে একটি কম্পিউটার কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করে থাকে৷ এ সংগঠনে কোন একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি নেটওয়ার্কে তার প্রভাব পড়ে না৷ 

খুব সহজেই সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেয়া যায়৷ স্টার টপোলজি একটি বহুল ব্যবহৃত টপোলজি এবং এই টপোলজিতে একই নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহৃত হতে পারে৷

স্টার টপোলজি ব্যবহারের সুবিধা?

  • নেটওয়ার্কে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করেই স্টারে নতুন কম্পিউটার যুক্ত করা সম্ভব৷
  • কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য নেটওয়ার্কের সমস্যা নিরূপণ সহজ৷  
  • ইনটেলিজেন্ট হাব ব্যবহার করলে তা সাহায্যে নেটওয়ার্কের কর্মকান্ড তথা ওয়ার্কলোড মনিটরিং করা যায়৷
  • এ সংগঠনে কোন একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে নেটওয়ার্কে কোন প্রভাব পড়ে না খুব সহজেই সমস্যা আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেয়া যায়৷
  • একই নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা যায়৷

স্টার টপোলজি ব্যবহারের অসুবিধা?

  • কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা কোন প্রকার সমস্যা হলে তা পুরো নেটওয়ার্ককে অকেজো করে দেয়৷
  • বেশি ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি৷
  • কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ডেটা ট্রান্সমিশনের হার হ্রাস পায়৷

ট্রি টপোলজি

যে টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা প্রশাখার মতো বিন্যস্ত থাকে তাকে ট্রি টপোলজি বলা হয়৷ টপোলজিতে এক বা একাধিক স্তরের কম্পিউটার হোস্ট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে৷ অর্থাৎ প্রথম স্তরের কম্পিউটারগুলো দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়৷ 

আর একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়৷ অফিস ব্যবস্থাপনার কাজে এ নেটওয়ার্ক টপোলজি খুবই উপযোগী৷ শাখা প্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি টপোলজির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা সহজ৷

ট্রি টপোলজি ব্যবহারের সুবিধা?

  • অফিস ব্যবস্থাপনার কাজে এ নেটওয়ার্ক টপোলজি খুবই উপযোগী৷
  • শাখা প্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি টপোলজির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা সহজ৷
  • রুট নেটওয়ার্ক ব্যতীত নেটওয়ার্কভুক্ত কোন অন্তবর্তী হোস্ট কম্পিউটার বা পেরিফেরাল কম্পিউটার অচল হলে নেটওয়ার্ক আংশিক বা প্রায় সম্পূর্ণ সচল থাকে।
  • নতুন কোন নোড সংযোগ বা বাদ দিলে নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক কাজকর্মের কোন অসুবিধা হয় না৷

ট্রি টপোলজি ব্যবহারের অসুবিধা?

  • এ টপোলজি কিছুটা জটিল৷
  • রুট বা সার্ভার কম্পিউটারে ক্রটি দেখা দিলে ট্রি নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে যায়৷
  • অন্যান্য টপোলজির তুলনায় এটি জটিল প্রকৃতির।
  • বাস্তবায়ন ব্যয় অপেক্ষাকৃত বেশি। 

হাইব্রিড টপোলজি

বাস, স্টার, রিং ইত্যাদি টপোলজির সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক টপোলজিকে বলা হয় হাইব্রিড টপোলজি৷ উদাহরণস্বরূপ ইন্টারনেটকে এ ধরনের টপোলজি হিসেবে অভিহিত করা যায়৷ 

কেননা ইন্টারনেট হল বৃহৎ পরিসরের একটি নেটওয়ার্ক যেখানে সব ধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়৷ এ টপোলজিতে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে৷ 

কোন সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়৷ কোন এক অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়ে যায়৷

হাইব্রিড টপোলজি ব্যবহারের সুবিধা?

  • এ টপোলজিতে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে৷
  • কোন সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়৷
  • কোন এক অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়৷

হাইব্রিড টপোলজি ব্যবহারের অসুবিধা?

  • এ টপোলজিতে ব্যবহৃত হাবসমূহ সর্বদা সচল রাখতে হয়৷
  • এই টপোলজির রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া জটিল। 
  • এই টপোলজির রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় তুলনামূলক বেশি। 

মেশ টপোলজি

যদি কোন নেটওয়ার্কে ডিজাইন বা পিসিসমূহের অতিরিক্ত সংযোগ থাকে তাহলে তাকে বলা হয় মেশ টপোলজি৷ অধিকাংশ মেশ টপোলজি নেটওয়ার্ক সত্যিকারের মেশ নেটওয়ার্ক নয়৷ 

এগুলো আসলে হাইব্রিড মেশ নেটওয়ার্ক৷ এতে শুধু কয়েকটি অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় লিংক থাকে৷ এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চিতা থাকে এবং নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়৷

মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্কের প্রথম কম্পিউটারটি শেষ কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে৷ রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটারকে প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে অতিরিক্ত নোড দিয়ে সংযুক্ত করলেই তা মেশ টপোলজিতে রূপান্তরিত হবে৷

মেশ টপোলজি ব্যবহারের সুবিধা?

  • নেটওয়ার্কে খুব বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় না৷
  • এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চয়তা থাকে৷
  • একই নোড একই সাথে একাধিক নোডে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে।
  • নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ডেটা ট্রান্সমিশনের গতির ওপর প্রভাব পড়ে না।
  • নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়৷
  • ডেটা ট্রান্সমিশনে সকল নোড সমান অধিকার পায়।
  • ডেটা ট্রান্সমিশন দ্রুতগতিতে হয়ে থাকে৷
  • নেটওয়ার্কে কেন্দ্রীয় কোন ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না।

মেশ টপোলজি ব্যবহারের অসুবিধা?

  • এ টপোলজিতে নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন বেশ জটিল৷
  • কম্পিউটার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হলে ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পায়।
  • এই টপোলজির নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন ও কনফিগার করা বেশ জটিল। 
  • নেটওয়ার্কে অতিরিক্ত লিংক স্থাপন করতে হয় বিধায় এতে খরচ বেড়ে যায়৷

নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য লক্ষণীয় বিষয়াবলি?

টপোলজি নির্ধারনের সময় নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য, বাস্তব প্রয়োজন, ব্যবহারকারীদের সুবিধা, অসুবিধা বাজেট ইত্যাদি সকল দিক বিবেচনা করা প্রয়োজন। 

একটি নতুন নেটওয়ার্কের টপোলজি ঠিক করার সময় সাধারণত যে বিষয়গুলোর দিক দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন তা হলঃ
  • বাজেট এবং ব্যয়ের পরিমাণ 
  • তারের দৈর্ঘ্য
  • ব্যবহৃত তারের ধরন
  • ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক বড় হওয়ার সম্ভাবনা 
  • নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্দেশ্য ও এর ব্যবহার।
  • নেটওয়ার্ক থেকে প্রাপ্ত সার্ভিসমূহের প্রকৃতি।
  • বিভিন্ন নোডের পারস্পরিক দূরত্ব।
Textile BD

Founder and Editor of Textile BD. He is a Textile Blogger & Entrepreneur. He is working as a textile job in Bangladeshi companies.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন