আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান কি | আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান কিভাবে কাজ করে

 আইরিস শনাক্তকরণ পদ্ধতিতে চোখের তারার রঙিন অংশকে পরীক্ষা করা হয় এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের মণিতে রক্তের লেয়ারের পরিমাণ পরিমাপ করে মানুষকে শনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান দুটো পৃথক পদ্ধতি।
আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান
আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান

রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতি একসময় জনপ্রিয় হলেও বর্তমানে এটি প্রায় অচল, কেননা আইরিস স্ক্যান পদ্ধতিটি রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতির তুলনায় অধিক সুবিধাজনক ও কার্যকর পদ্ধতি।

আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান কিভাবে কাজ করে?

আইরিস স্ক্যান বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তিকে তার মাথা ও চোখকে স্থির অবস্থায় ক্যামেরাসংযুক্ত একটি ডিভাইসের সম্মুখে স্থাপন করতে হয়। 

উক্ত ক্যামেরাটি চোখের দুটো ফটোগ্রাফ গ্রহণ করে যার মধ্যে একটি সাধারণ আলোতেও অদৃশ্য আলো তথা ইনফ্রারেড আলোতে গ্রহণ করা হয়। 

সাধারণত আলোর ফটোগ্রাফটি চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশকে পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।অপরদিকে ইনফ্রারেড আলোয় নেয়া ফটোগ্রাফটি চোখের তারার গাঢ় কালো অংশটি পরিক্ষা করতে ব্যবহার করা হয়। 

এই দুই ফটোগ্রাফকে কম্পিউটারের নেওয়ার পর এর অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো সরিয়ে ফেলা হয় এবং এখান থেকে প্রায় ২৪০টি অদ্বিতীয় বিন্দুকে শনাক্তকরণ করা হয়। 

আর এগুলোকে একটি নিউমেরিক কোডে রুপান্তর করে তা আইরিস কোড হিসেবে এক্সট্র্যাক্ট করা হয়।অতঃপর পূর্বে সংরক্ষণ করা আইরিস কোডের সাথে তা ম্যাচিং করে কোন ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করা হয়। 

রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিটি এখন বাতিল প্রায়। এক্ষেত্রে চোখের মণির পশ্চাতে থাকা রেটিনাকে নির্দিষ্ট ক্যামেরা ও সেন্সর ব্যবহার করে স্ক্যান করা হয়। 

মানুষের চোখের রেটিনাতে থাকা ক্যাপিলারি ও স্নায়ুবিক কোষগুলোর জটিল গঠনকে এক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন লেয়ারের ক্যাপিলারিতে থাকা রক্তের পরিমাণও এক্ষেত্রে বিবেচনা হয়ে থাকে। 

এ দুই উপাদান থেকে অদ্বিতীয় অংশগুলো চিহ্নিত ও ম্যাচিং করে রেটিনা স্ক্যান অদ্বিতীয়ভাবে যেকোন ব্যক্তিকে শনাক্তকরণ করতে পারে। 

আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান বায়োমেট্রিক্সের সুবিধা?

  • ইহা মাত্র পাঁচ মিনিটেই ব্যক্তি শনাক্তকরণের কাজটি সম্পন্ন করতে পারে।
  • অত্যন্ত হাই অ্যাকিউরিসি পাওয়া সম্ভব। 
  • এই প্রত্যঙ্গগুলোকে সহজে নকল করা সম্ভব নয়।
  • মৃত ব্যক্তির রেটিনা দ্রুত পচন ধরে বিধায় একে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে ব্যবহার করে অপরাধমূলক কাজ সম্ভব নয়। 

আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান বায়োমেট্রিক্সের অসুবিধা?

  • অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রযুক্তি।
  • চোখের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর। 
  • অনধিকার প্রবেশমূলক প্রযুক্তি।
  • প্রচুর মেমোরি প্রয়োজন হয়।

আইরিস ও রেটিনা স্ক্যান বায়োমেট্রিক্সের ব্যবহার?

  • বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সরকারি সংস্থা যেমনঃ এফবিআই, নাসাতে ব্যক্তি শনাক্তকরণে রেটিনাল স্ক্যান ব্যবহার করা হয়। 
  • সম্প্রতি কারাগার, এটিএম বুথ প্রভৃতিতে ভেরিফিকেশনে রেটিন্যাল স্ক্যান ব্যবহার করা হয়।
Textile BD

Founder and Editor of Textile BD. He is a Textile Blogger & Entrepreneur. He is working as a textile job in Bangladeshi companies.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন