সেল সিগন্যাল এনকোডিং কি | সেল সিগন্যাল এনকোডিং এর কাজ কি

সেল সিগন্যাল এনকোডিং কি?

বিভিন্ন ট্রান্সমিটার থেকে প্রেরিত সিগন্যালগুলো আলাদা করার জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে সেল সিগনাল এনকোডিং বলে।
সেল সিগন্যাল এনকোডিং
সেল সিগন্যাল এনকোডিং

সেল সিগন্যাল এনকোডিং এর কাজ কি?

সেল সিগনাল এনকোডিং এর জন্য CDMA, FDMA, TDMA এবং GSM প্রযুক্তি উন্নয়ন করা হয়৷ নিচে এ প্রযুক্তিগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলঃ
  • CDMA (Code Division Multiple Access)
  • FDMA (Frequency Division Multiple Access) 
  • TDMA (Time Division Multiple Access) 
  • GSM (Global System for Mobile Communication)

CDMA (Code Division Multiple Access) কি?

বিভিন্ন রেডিও কমিউনিকেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহৃত একধরনের চ্যানেল অ্যাক্সস পদ্ধতি হল (CDMA)। এটি একাধিক ব্যবহারকারীকে একই ফ্রিকুয়েন্সিতে ব্যান্ড শেয়ার করার সুযোগ দিয়ে থাকে। 

যা মাল্টিপল অ্যাকসেস পদ্ধতি নামে পরিচিত৷ এটি স্প্রেড-স্পেকট্রাম নামে এক ধরনের ডিজিটাল মডুলেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে ভয়েস ডেটাকে খুব ওয়াইড একটি চ্যানেলে ছড়িয়ে দেয়।

এবং প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে বা সেলকে pseudorandom পদ্ধতিতে তৈরিকৃত একটি নির্দিষ্ট কোড প্রদান করা হয়৷ আর এই কোড শুধুমাত্র গ্রাহক প্রান্তে ডিকোড করে প্রকৃত ডেটা পুনুরুদ্ধার করা সম্ভব৷ 

গ্রাহক প্রান্তে অন্যান্য কোড নয়েজ (NOISE) হিসেবে ধরা হয়। NOISE হল (Eratic Random Electrical Single)। যেহেতু এসকল কোড pseudorandom এবং এমনভাবে নির্বাচিত করা হয় যেন প্রতিবেশি কোড দিয়ে প্রভাবিত না হয়।

যার ফলে একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে কথা বলতে পারে এবং একাধিক সেল একই ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার পারে৷ আর এ কারণে একটি নয়েজ সিগনাল যুক্ত হয়।

যা সকল ব্যবহারকারীকে আরও পাওয়ার ব্যবহার করতে বাধ্য করে ফলশ্রুতিতে সেল রেঞ্জের আকার এবং ব্যবটারির মেয়াদ কমে যায়৷

FDMA (Frequency Division Multiple Access) কি?

এ পদ্ধতিতে প্রত্যেক সেলে ব্যবহৃত ট্রান্সমিটিং ও রিসিভিং ফ্রিকুয়েন্সি প্রত্যেক প্রতিবেশী সেলে ব্যবহৃত ফ্রিকুয়েন্সি থেকে আলাদা৷ ব্যবহৃত ফ্রিকুয়েন্সি আলাদা করার মাধ্যমে একাধিক ব্যবহারকারী একইসাথে সংযোগ পেতে পারে৷

TDMA (Time Division Multiple Access) কি?

এ পদ্ধতিতে একাধিক ব্যবহারকারীকে একইসাথে সংযোগ দিতে চ্যানেলকে পর্যায়ক্রমিকভাবে কতগুলো টাইম স্লাইসে ভাগ করা হয়৷ 

প্রত্যেক ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট সময় পর পর ট্রান্সমিটিং ও রিসিভিং এর সুযোগ পায়৷ প্রকৃতপক্ষে যেকোন মূহুর্তে একজনমাত্র ব্যবহারকারী চ্যানেল ব্যবহার করতে পারে৷  

GSM (Global System for Mobile Communication) কি?

GSM হল FDMA (Frequency Division Multiple Access) এবং TDMA (Time Division Multiple Access) এর সম্মিলিত একটি চ্যানেল অ্যাক্সেস পদ্ধতি। জিএসএম পদ্ধতি FDMA পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যবহৃত ফ্রিকুয়েন্সি পৃথক করার মাধ্যমে সেগুলোকে পৃথক করে। 

এবং পরে TDMA পদ্ধতি ব্যবহার করে সেলের মধ্যে ব্যবহারকারীকে পৃথক করে। এফডিএমএ পদ্ধতিতে স্পেকট্রামের একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি সব সময়ের জন্য এবং TDMA পদ্ধতিতে স্পেকট্রামের সকল ফ্রিকুয়েন্সি অথবা ফ্রিকুয়েন্সির বৃহৎ অংশ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংরক্ষিত করা হয়। 

ফোন পরিচালনার জন্য ITU (International Telecommunication Union) কর্তৃক প্রণীত সেলুলার ফ্রিকুয়েন্সিকে 800 MHz থেকে 1900 MHz) জিএসএম ফ্রিকুয়েন্সি বা জিএসএম ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড বলা হয়। 

প্রাথমিকভাবে এটি ছিল ইউরোপিয়ান মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। এটি ছিল টুজি মোবাইলের সিস্টেমের প্রধান প্রযুক্তি এবং একটি বিশ্বব্যাপী গৃহীত হয়েছিল ভয়েস কল ছাড়াও রোমিং সুবিধা, টেক্সট মেসেজ এবং আরও অনেক বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণে সক্ষম।
Textile BD

Founder and Editor of Textile BD. He is a Textile Blogger & Entrepreneur. He is working as a textile job in Bangladeshi companies.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন