পেটেন্ট হল এক ধরনের মেধাসম্পদ। পেটেন্টের মাধ্যমে এরূপ আবিষ্কারের জন্য আবিষ্কারককে তার স্বীকৃতিস্বরূপ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একচেটিয়া মালিকানা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে পণ্য বা সেবার উদ্ভাবক বা আবিষ্কারক ও সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়।
পেটেন্ট |
আবিষ্কারককে পেটেন্টটি প্রদানের অর্থ হল এই নির্দিষ্ট সময়ে অন্য কেউ এটি তৈরি, ব্যবহার এবং বিক্রয় করতে পারবে না। অনেক সময় কোন অসাধু ব্যবসায়ী বা প্রতিযোগী বিধি লঙ্গন করে নকল পণ্য বাজারে বিক্রয় করে উদ্ভাবনকারীকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
পেটেন্ট করার প্রধান উদ্দেশ্য হল শিল্পোদ্যোক্তার পরিশ্রমলব্ধ উদ্ভাবন নকল বা অন্য কোন উপায়ে তৈরি বা বিক্রি করে যাতে আর্থিক সুবিধা অর্জন না করতে পারে তার ব্যবস্থা করা।
ব্যবসায় জগতে প্রকৃত উদ্ভাবক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পেটেন্ট ধারণার উৎপত্তি হয়েছে।
বস্তুত এ বিষয়ে শিল্পোদ্যোক্তার সচেতনতার অভাব বা অবহেলার কারণে অনেক সময় প্রতারিত হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯১১ সালের পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন চালু হয়েছে।
পেটেন্ট আইনের সুবিধা?
- ইহা উদ্ভাবন ও বুদ্ধিদীপ্ত সম্পত্তি বিক্রির অধিকার দিয়ে থাকে।
- পেটেন্ট থেকে জনগণও উপকৃত হয়ে থাকে।
- কোন ব্যক্তিকে আবিষ্কারের লাইসেন্স দেওয়া যায়, কিন্তু সকল আই.পি (IP) অধিকার বিদ্যমান উদ্ভাবনকারীর নিকটই বিদ্যমান থাকে।
- উদ্ভাবনের ভিত্তিতে কোন ধরনের ব্যবস্থা শুরু করার জন্য তৃতীয় পক্ষের সাথে আলোচনা করা যায়।
- যদি কেউ উদ্ভাবনের পেটেন্ট না করে তবে যে কেউ ঐ উদ্ভাবন ব্যবহার করতে পারেন, এমনকি বিক্রি করতে পারে। পেটেন্ট উদ্ভাবনকারীকে এগুলোর হাত থেকে রক্ষা করে।
- পেটেন্ট এর কারণে আমরা উন্নত মানের পন্য বা সেবা পাই।