প্রত্যেক শ্রমিকের বাৎসরিক ছুটির হিসেবের ক্ষেত্রে ২টি হিসেব রয়েছে। নিচে নিয়ম দুটি আলোচনা করা হলঃ
একজন শ্রমিকের বাৎসরিক ছুটি ভোগের অধিকার অর্জনের হিসেব?
যখন একজন শ্রমিক নিয়মিতভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে এক বৎসর চাকুরি করেন, তখন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক উক্ত প্রতিষ্ঠানে বাৎসরিক ছুটি লাভের অধিকারী হন।
অর্জিত ছুটি |
এই এক বছর চাকুরির অবিচ্ছিন্নতা হিসেবের ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক নিন্মলিখিত কারণে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও তার চাকুরির কোন বিচ্ছিন্নতা ঘটবে না। অর্থাৎ তিনি অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন বলে গণ্য হবেন। যেমনঃ
- কোন বন্ধের দিন
- অনধিক ষোল সপ্তাহ পর্যন্ত প্রসূতি ছুটি
- আইনসম্মত কোন ধর্মঘট কিংবা বে আইনী কোন লক আউট
- কোন মজুরীসহ ছুটি
- কোন লে অফ
অর্থাৎ কোন শ্রমিক উপরোল্লিখিত দিনগুলো এবং কাজে উপস্থিতিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে এক বছর চাকুরি করলে তিনি অবিচ্ছিন্নভাবে এক বছর চাকুরি সম্পূর্ণ করেছেন বলে গণ্য হবেন। সেই সঙ্গে তিনি অর্জিত ছুটি ভোগের অধিকারী হবেন।
বাৎসরিক ছুটি ভোগের অধিকারী একজন শ্রমিক পরবর্তী ১২ মাস সময়ে পূর্ববর্তী ১২ মাসে কাজের জন্য কতদিন ছুটি পাবেন তার হিসেব। যেমনঃ
কোন প্রতিষ্ঠানে একজন শ্রমিক বাৎসরিক ছুটি পাওয়ার অধিকারী হলে তিনি উক্ত ছুটি পরবর্তী ১২ মাসে পূর্ববর্তী ১২ মাসে কাজের জন্য কতদিন পাবেন। তা উক্ত শ্রমিকের বয়স ও কর্মরত প্রতিষ্ঠানের ধরনের উপর ভিত্তি করে এর অনুপাত নির্ধারিত হয়।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এ শ্রমিকের বয়সের ভিত্তিতে সকল শ্রমিককে ২ শ্রেণীতে বিন্যাস করেছে। এ দুটি শ্রেণী হলঃ
- প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক
- অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক
প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক বাৎসরিক ছুটি প্রাপ্যর অধিকারী হলে পরবর্তী ১২ মাস সময়ে তার পূর্ববর্তী ১২ মাসের কাজের জন্য মজুরীসহ নিন্মবর্ণিত হারে গণনার ভিত্তিতে ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে।