পানির উৎস (Source of water) কয়টি ও কি কি?
প্রকৃতিতে সাধারণত উৎস বা উৎপত্তিস্থলের উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত প্রধান ৪টি উৎস থেকে পানি পাওয়া যায়ঃ১. উপরিভাগের পানি (Surface weter)
- প্রবহমান পানি যেমনঃ নদী বা খালের পানি
- স্থির পানি যেমনঃ পুকুর বা হ্রদের পানি
২. ভূগর্ভস্থ পানি (Ground water)
- ঝরনার পানি
- অগভীর ও গভীর নলকূপের পানি
- সমুদ্রের পানি (Sea water)
- বৃষ্টির পানি (Rain water)
উপরিভাগের পানি কি?
এ পানি সাধারণত খাল নদী পুকুর ওহ্রদে পাওয়া যায়৷ পাহাড়ের গলিতে তুষার বৃষ্টি ও ঝরনার পানি প্রভৃতি প্রবাহিত হয়ে নদীতে পড়ে৷ এ পানিতে দ্রবীভূত জৈব ও অজৈব পদার্থ এবং অদ্রবীভূত বা ভাসমান পদার্থ থাকে৷নদীর পানিতে সোডিয়াম পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ও আয়রন ইত্যাদির ক্লোরাইড সালফেট কার্বনেট ও বাইকার্বনেট মিশ্রিত থাকে৷ এ পানি ডাইং ও ফিনিশিং এর জন্য উপযোগী নয়৷
ভূগর্ভস্থ পানি কি?
ঝরনার পানি অগভীর ও গভীর নলকূপের পানি ভূগর্ভস্থ পানির অন্তর্গত৷ বৃষ্টির পানি ভূপৃষ্ঠের উপর পতিত হয়ে মাটির বিভিন্ন সচ্ছিদ্র কঠিন পদার্থের স্তর যেমন মাটি বালি‚ বালি পাথর ইত্যাদি ভেদ করে ভূগর্ভে প্রবেশ করার সময় পরিশ্রত হয়ে যখন কাদা গ্রানাইট শ্লেট ইত্যাদি অভেদ্য স্তরে পোঁছে তখন পানি জমা হতে থাকে৷পানির উৎস |
উক্ত পানিতে মাটির মধ্যস্থ দ্রবণীয় লবণ যেমন সোডিয়াম পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম লবণ হাইড্রোজেন সালফাইড কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য গ্যাস দ্রবীভূত হয় কিন্তু অ্যামোনিয়া বা জৈব পদার্থ থাকে না৷ ঝরনার পানিতে খনিজ লবণ দ্রবীভূত থাকে বলে একে খনিজ পানি বলা হয়৷
সমুদ্রের পানি
নদীর পানি এসে সমুদ্রে পড়ে৷ এ পানিতে অনেক ভাসমান পদার্থ থাকে৷ তাছাড়া এতে সোডিয়াম পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি ধাতুর ক্লোরাইড সালফেট কার্বনেট ব্রোমাইড আয়োডাইড ইত্যাদি দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে৷সমুদ্রের পানিতে ধাতব লবণের পরিমাণ ওজন হিসেবে ৩.৬% তন্মধ্যে সোডিয়াম ক্লোরাইড ২.৭% সমুদ্রের পানি খর হয়৷ এটা ডাইং ও ফিনিশিং প্রক্রিয়ার উপযোগী নয়৷
বৃষ্টির পানি
প্রাকৃতিক পানির মধ্যে বৃষ্টির পানিই বিশুদ্ধতম৷ যদি এ পানি ধরে রাখা সম্ভব হতো তবে তা বয়েলিং ওয়াশিং এবং ডাইং প্রসেসের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট পানি হতো৷ এ পানি আকাশ থেকে পতিত হবার সময় বায়ুমন্ডল হতে নাইট্রিক এসডি নাইট্রাস এসিড অ্যামোনিয়া অক্সিজেন নাইট্রোজেন কার্বন ডাই অক্সাইড দ্বারা দূষিত হতে পারে৷কিন্তু এসব দূষিত পদার্থের পরিমাণ খুবই নগণ্য যা শিল্প কার্যে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে না।