মেলা অর্থ কি?
মেলার আক্ষরিক অর্থ মিলন৷ মেলার নামে সবার মন এক অভূতপূর্ব আনন্দের উচ্ছ্বাসে ওঠে নেচেন মেলার আনন্দের স্মৃতি সকলের মনেই থাকে গভীরভাবে মুদ্রিত৷ মেলা পরস্পরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ ও ভাব সম্মিলিনের সংযোগ সেতু৷ প্রাচীনকাল থেকেই গ্রাম্য মেলার গুরুত্ব তাই অসীম৷কিভাবে মেলার প্রচলন হয়?
বিশেষ কোন পর্ব উপলক্ষে মেলার প্রচলন হলেও এখন গ্রামীণ জীবনে এটি একটি স্বাভাবিক উৎসবে রূপ নিয়েছে৷ সাধারণত বছরের শেষে অথবা বছরের শুরুতে এই মেলা বসে অথবা বিশেষ কোন পর্ব উপলক্ষেও মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে৷মেলার স্থান ও সময়?
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতেই নানা ধরনের মেলার প্রচলন রয়েছে প্রচলন রয়েছে৷ স্থান বিশেষে কিছু বিখ্যাত মেলা৷ যা ঐ স্থানের নামেই সুপরিচিত৷ সাধারণত মেলা বসার জন্য হাট বাজারের ন্যায় নির্দিষ্ট কোন স্থান নির্ধারিত থাকে না৷ গ্রামের কেন্দ্রস্থলে খোলা মাঠে মন্দির প্রাঙ্গনে নদীর তীরে অথবা বড় বৃক্ষের নিচে গ্রাম্য মেলা বসতে দেখা যায়৷মেলা |
পূর্ব ঐতিহ্য অনুযায়ী এসব স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়৷ মেলার স্থানে সাময়িকভাবে দোকানপাট বসার মত চালা নির্মাণ করা হয়৷ মেলা শেষ হওয়ার পর এগুলো ভেঙে ফেলা হয়৷ বছরের শেষে মেলার আনন্দে আবারও মুখরিত হয়ে ওঠে মেলার সে স্থানে৷
বাংলাদেশে প্রচলিত মেলাগুলোর কোনটি একদিন কোনটি একদি সপ্তাহ কোনটি পনের দিন আবার কোন কোন মেলা এক মাসব্যাপী চলতে থাকে৷ আজকাল শুধু গ্রাম নয় শহর বা আধা শহরেও মেলার আসর বসে৷ তবে গ্রামই মেলার উপযুক্ত পটভূমি৷
মেলা কত প্রকার ও কি কি?
প্রাচ্যের দেশগুলোতে সাধারণত পাঁচ ধরনের মেলা দেখা যায়ঃ- ধর্মীয় মেলা (The Religious Fairs)
- সাধারণ প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যের মেলা (The General Commodity Fairs)
- গৃহপালিত পশুর মেলা (The Livestock Fairs)
- দেশীয় বাজার (The Country Markets )
- নমুনা মেলা (The Sample Fairs)
ধর্মীয় মেলা কি?
ধর্মীয় মেলা হল সর্বাপেক্ষা প্রাচীন মেলা। যা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ধর্মভিত্তিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মূলত অধিকাংশ মেলাই প্রসার লাভ করেছে ধর্মভিত্তিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। পরবর্তীতে এই সকল মেলায় বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য, ক্রয় ও বিক্রয় কার্যক্রম যুক্ত হয়েছে।সাধারণ প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যের মেলা কি?
সাধারণ প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মেলা সেই সকল দেশে দেখা যায়। যেখানে নিয়মিত লেনদেনের কোন নিশ্চয়তা নেই। যেখানে পরিবহন ব্যবস্থা ও মাধ্যম খুবই সীমিত। আর এই ধরনের মেলাই বৃহত্তর ব্যবসা বাণিজ্যের একমাত্র মাধ্যম।অনেক সমাজে সাময়িক যুদ্ধবিরতির সময় কোন নিরপেক্ষ স্থানে এই পর্যায়ের লেনদেন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ঐতিহাসিক সূত্রে এই ধরনের সমাজের অধিকাংশ বাণিজ্যই ছিল সীমান্তবর্তী বাণিজ্য।
আর এই বাণিজ্যের উদ্ভবই হয় সীমান্ত বাণিজ্য এবং কাফেলা (Caravan) পরিবহন থেকে। উত্তর আফ্রিকায় কাফেলার সমাবেশ স্থলে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সমাবেশ থেকে এই মেলার সৃষ্টি হয়েছিল। মরুভ্রমণকারী কাফেলা দল নিজেদের প্রয়োজনে উৎসবের সময়ে এক জায়গায় মিলিত হতো। পরবর্তীতে এই ধরনের মেলা ধর্মীয় ঘটনার সাথে জড়িত হয়।
গৃহপালিত পশুর মেলা কি?
এই ধরনের মেলা সর্বাপেক্ষা প্রাচীণ ও এখন পর্যন্ত একইভাবে টিকে আছে। আর এই মেলার উৎস স্থল পল্লী অঞ্চলে হয়। বৎসরের অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতে হয় এমন কৃষি অর্থনীতিতে অল্প সময়ের ব্যবধানে গৃহপালিত পশুর মেলা বসে। চারণভিত্তিক যাযাবর সমাজে মেলা অনুষ্ঠানের মধ্যে ব্যবধান ঋতু পরিবর্তন এবং পশুর পালের বিচরণের সাথে সম্পর্কিত থাকে।বৎসরের একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে পশুর পাল নিয়ে জমায়েত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা থেকেই গৃহপালিত পশুর মেলা উদ্ভব হয়। আর এই ধরনের মেলা প্রথমদিকে প্রায় সব সময়ই উন্মুক্ত পল্লী এলাকায় অনুষ্ঠিত হতো। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই স্থানগুলো জনবসতির রাজস্ব কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
দেশীয় বাজার কি?
কৃষি পণ্যের লেনদেনের জন্য সমাবেশই মূলত দেশীয় বাজার। আর এই সমাবেশই নগর জনপদ বিকাশের একটি কারণ। যখন নগর হিসেবে বিকাশ লাভ করে তখন এতে ক্রমান্বয়ে নগরের কার্যক্রম যোগ হতে থাকে এবং সবশেষে এটি পল্লী অঞ্চলের সকল উৎপাদনের সংগ্রাহক কেন্দ্রে পরিণত হয়। আর এইভাবে শহর বাজার গড়ে উঠে।নমুনা মেলা কি?
নমুনা মেলায় অভ্যাগত এবং ক্রেতারা শুধুমাত্র নমুনা কেনা বেচা করে ও নমুনা দেখে পছন্দ অনুযায়ী পণ্যের ফরমায়েস দেয়। আর এইভাবে পণ্যদ্রব্য বিক্রেতা থেকে ক্রেতার কাছে হস্তান্তর হয়। মেলায় যার ভৌত উপস্থিতি নাও থাকতে পারে।আন্তর্জাতিক মেলায় পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা নিজেদের দেশের উৎপাদন অথবা শিল্পজাত দ্রব্যের নমুনা নিয়ে উপস্থিত হয় ও এই সকল নমুনা দেখে বিভিন্ন দেশ অন্যান্য দেশের উৎপাদিত পণ্যের ফরমায়েশ দেয়।
মেলার উপলক্ষ কি কি?
আমাদের দেশে গ্রামে সাধারণত ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে মেলা অনুষ্ঠিত হয়৷ পহেলা বৈশাখ রথযাত্রা জন্মাষ্টমী বিজয়া দশমী দশই মহরম চৈত্র সংক্রান্তি এসব উৎসবকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ মেলা বসে থাকে৷ তবে উপলক্ষ যাই হোক না কেন মেলা বাঙালি সমাজ ও মানুষের নিকট খুব জনপ্রিয় ও আনন্দের দিন৷ মেলায় সমাজের সর্ব শ্রেণীর মানুষ ধনী নির্ধন উচ্চ নীচ নির্বিশেষে সকলেই এসে মিলিত হয়৷বিভেদের পার্থক্য ভুলে গিয়ে সকলেই এক আনন্দের জোয়ারে গা ভাসায়৷ মেলাকে আশ্রয় করেই গ্রামীণ মানুষের আনন্দ উৎসবের রুদ্ধ দুয়ার খুলে যায়৷ এর মধ্যেই সে খুঁজে পায় বেঁচে থাকার সার্থকতা৷ খুঁজে পায় মুক্তির আনন্দ৷
সত্যপীর শীতলা মনসা ষষ্ঠী ওলবিবি সতী-মা এমনি কত লৌকিক দেবদেবী গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কত শত শতাব্দীর মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা আর ধর্মীয় আকৃতির সঙ্গে এঁদের আত্নিক সম্পর্ক৷
এদের কেন্দ্র করে কত লোকগাঁথা কত ব্রতকথা পাঁচালী ছড়া গ্রাম্য সাহিত্য সঙ্গীতের ধারা আজও চলে আসছে৷ মেলা গ্রামীণ জীবনের শুকনো খাতে নিয়ে আসে প্রবল আনন্দ জোয়ার৷ সেই জোয়ারেই বাঙালীর চিত্তভূমি সিক্ত হয়েছে৷
মেলার প্রস্তুতিকরণ?
কোন ছোট ছেলে মেয়েরা আগে থেকেই মেলায় খরচ করার জন্য তাদের পিতা মাতার নিকট থেকে টাকা পয়সা জমা করতে থাকে৷ এছাড়া আশেপাশের কারিগরেরা মেলায় বিক্রির জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতে থাকে৷মেলার বর্ণনা ও মেলার সাধারণ চিত্র পটভূমি?
প্রত্যেক মেলারই একটা সাধারণ চিত্র আছে৷ যেন চলমান এক ছবি৷ ভিড় চেঁচামেচি হট্টগোল ঠেলাঠেলি হাসি কান্না ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বিস্ময় বিমুগ্ধ দৃষ্টি খুশির উচ্ছ্বাস রঙবেরঙের পোশাক আশাক৷ নাগরদোলা কাটামুন্ডু জোড়া লাগার জাদুবিদ্যা তালপাতার বাঁশীর আওয়াজ রকমারি খেলনা মন্ডা মিঠাইয়ের দোকান জিলিপি খাওয়ার ধুম পাঁপড় তেলেজার ঘ্রাণ জামা কাপড় হাঁড়িকুঁড়ি নানা রকমের পণ্য পসরাএমনি একের পর এক আরও কত জীবন্ত চিত্র৷
মেলায় দূর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে দোকানদাররা আসে৷ মেলায় দোকানগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো থাকে৷ মেলায় কোথাও খেলনা কোথাও ডালা কূলা চালুনি কোথাও কাঠের জিনিসপত্র কোথাও মাটির জিনিসপত্র কোথাও ঘুড়ি এবং কোথাও খাবারের জিনিসের দোকান বসে৷ এছাড়া মেলার একপাশে নাগরদোলা রাধাচক্র ও সার্কাস বসে৷
মেলায় দূর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে দোকানদাররা আসে৷ মেলায় দোকানগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো থাকে৷ মেলায় কোথাও খেলনা কোথাও ডালা কূলা চালুনি কোথাও কাঠের জিনিসপত্র কোথাও মাটির জিনিসপত্র কোথাও ঘুড়ি এবং কোথাও খাবারের জিনিসের দোকান বসে৷ এছাড়া মেলার একপাশে নাগরদোলা রাধাচক্র ও সার্কাস বসে৷
চলে বানরের নাচ পুতুল নাচ তার সাথে চলে ছোট ছেলেমেয়েদের নাচানাচি৷ অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে মেলায় হাজির হয়৷ কুটির শিল্পের অসংখ্য নমুনা এখানে আনা হয়ে থাকে৷ আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণীর কারিগররা যেসব জিনিস তৈরি করে তা তারা বিক্রয়ের জন্য মেলায় নিয়ে আসে৷
এভাবে সুন্দর সুন্দর জিনিসের সমারোহে সারা মেলা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ কোন কোন মেলায় কিছু খেলাধুলার প্রতিযোগিতাও চলে৷ এর মধ্যে হা-ডু-ডু ও কুস্তি প্রতিযোগিতা দর্শকদের বিশেষ আনন্দ দেয়৷
মেলার তাৎপর্য কি কি?
মেলার আছে দুটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিক৷ মনস্তাত্মিক ও অর্থনৈতিক৷ মনস্তাত্ত্বিক দিক হলঃ ভাবের আদান প্রদান অর্থনৈতিক দিকটি হল পণ্য বিকিকিনি৷ গ্রামীণ জীবনে মেলা গ্রামের নিস্তরঙ্গ জীবনে অনাবিল আনন্দের উৎস হিসেবে উদযাপিত হয়৷ মেলা গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি৷গ্রামের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী নানা শিল্প সম্ভার মেলায় প্রদর্শিত হয়ে গ্রামীণ জীবনের ছবি স্পষ্ট করে তোলে৷ গ্রামীণ জীবনের কৃতিত্বের পরিচয় রূপায়িত হয় গ্রাম্য মেলার মাধ্যমে৷ গ্রামের নানা খেলা ও আমোদ প্রমোদের উপকরণ দেখতে পাওয়া যায় গ্রাম্য মেলায়৷ বস্তুত গ্রামকে চেনা যায় গ্রাম্য মেলার মাধ্যমে৷
মেলার আকর্ষণ কি কি?
মেলার জন্য বহুদিন থেকে চলে নানা উদ্যেগ আয়োজন৷ মেলায় আসা বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী মেলার অন্যতম আকর্ষণ৷ এ মেলা উপলক্ষে বিক্রেতারা তাদের বিচিত্র দ্রব্যের সমাবেশ ঘটায়৷ এখানে কুটির শিল্পজাত এবং মৃৎশিল্প তাল পাতার পাখা কাগজের তৈরি রকমারি খেলনা শীতল পাটি নকশী কাঁথা ইত্যাদি নানা সামগ্রীর সমাবেশ ঘটে।মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে বাঁশের বাঁশি চামড়ার ঢোল ইত্যাদি৷ এছাড়াও মেলায় উপভোগ করার মত আছে সার্কাস ম্যাজিক যাত্রা থিয়েটার ইত্যাদি বিনোদনমূলক উপাদান৷
মেলার উপকারিতা কি কি?
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে গ্রাম্য মেলা শুধু আনন্দ বিত্তের শান্তিই দেয় না বিত্তের শক্তিও যোগায়৷ মেলায় কৃষি ও কুটির শিল্পজাত দ্রব্যাদি বেচাকেনা হয়৷ মেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামের কামার কুমার তাঁতী সুতারদের মধ্যে বিভিন্ন জিনিস বানানোর হিড়িক পড়ে যায়৷তাই দেখা যাচ্ছে মেলার মাধ্যমে গ্রামীণ অনেক মানুষের কিছু উপার্জনের পথও প্রশস্ত হয়৷ এছাড়া সার্কাস ও যাত্রাদলসহ আরো অনেকই মেলায় ব্যবসায় করে থাকে৷ এতে করে বহু লোকের কিছুটা হলেও অন্ন সংস্থান হয়৷
মেলার অপকারিতা কি কি?
মেলা উপকারের পাশাপাশি অপকারও আছে৷ মেলায় বিচিত্র লোকের সমাগত ঘটে৷ জুয়া চুরি ডাকাতি রাহাজানি সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অসামাজিক ও অন্যায় অবৈধ কাজ মেলায় সংঘটিত হতে পারে বা হয়৷ তাছাড়া যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের ফলে ভীষণ দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়৷যার ফলে পরিবেশ দূষিত হয় এবং নানা রকম রোগের প্রাদুর্ভাব হয়৷ অনেক সময় পচা বাসী খাবার খাওয়ার ফলে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়৷
উপসংহার
মেলা হচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পরিচায়ক৷ মেলা লোক সংস্কৃতিরই এক বিশেষ ধমনী৷ এই ধমনীতেই জীবনের স্পন্দন৷ এরই মধ্যে বাঙালী খুঁজে পেয়েছে নিজেকে৷ মেলা তো নিছক আনন্দ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্র নয়৷এর সঙ্গেস যুক্ত আছে তার দীর্ঘকালের ধর্ম সাধনা৷ আছে তার জীবন লীলার নানা তরঙ্গের ঘাত প্রতিঘাত৷ এরই মধ্যে আছে তার অর্থনৈতিক নিশ্চিয়তার আশ্বাস৷ আছে জীবনের অফুরান প্রাণশক্তির প্রকাশ৷ মেলাই তার বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতি৷ তার অস্তিত্ব৷ তার দর্পণ৷