5s কি | ফাইভ এস এর সুবিধা

5s কি?

5s ইহা জাপানিজরা ডেভেলপড করে থাকে। ইহা একটি হাউজকিপিং পদ্ধতি। 5s হল ওয়ার্কপ্লেস পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার একটি হাই কোয়ালিটি প্রসেস বা পদ্ধতি। 5s যথাঃ
  • Sort
  • Set in order
  • Shine
  • Standardize
  • Sustain

Sort (বাছাই করা)

কর্মক্ষেত্র থেকে অপ্রয়োজনীয় উপকরণ অপসারন করা যায়।

Set_in_Order (ক্রম অনুসারে সাজানো)

সুশৃঙ্খল এবং সংগঠিতভাবে প্রতিটি প্রয়োজনীয় উপকরণ সাজিয়ে রাখা হয়।

Shine (চক চক/পরিষ্কার করা)

ক্রমাগত পরিষ্কার অবস্থায় সরঞ্জাম কিংবা যন্ত্রপাতি রাখা ও একটি সুন্দর সাজানো এবং গোছানো কর্মক্ষেত্রে তৈরি করা।

Standardize (মান নির্ধারণ করা)

সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করতে হবে ও কর্মস্থলের সঠিক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

Sustain (বজায় রাখা)

নিয়মিতভাবে উপরের সবগুলো পয়েন্টে পর্যবেক্ষণ করতে হবে ও সবগুলো নিয়ম ধরে রাখতে হবে।

5s এর ভূমিকা?

এর ফলে ফ্যাক্টরীগুলো জীবন্ত প্রাণীর মত। যারা সুস্থ ও সবল তারা আশেপাশের পরিবেশের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজন অনুযায়ী চলাফেরা করে কিংবা পরিবর্তিত হয়ে থাকে। আর যারা কাজ করে তাদেরকে কাজের অপরিহার্য অংশ হিসাবে পার্টস কিংবা যন্ত্রপাতি খোজাখুজি করতে হয়, কারণ তারা ধুলাবালির মধ্যে এবং এলোমেলো পরিবেশে কাজ করে।

5s
5s

যেখানে অনেক অপ্রয়োজনীয় কিংবা নষ্ট জিনিস থাকে। যার কারণে উৎপাদিত পণ্যে ডিফেক্টের হার অনেক বেশী হয়, শিপমেন্ট ফেল হয় ও কর্মরত লোকদের মানোবল ভাল না থাকায় উৎপাদনশীলতা কম থাকে।

ফাইভ এস কেন প্রয়োজন?

কর্মক্ষত্রকে সাজিয়ে ও গুছিয়ে একটি দক্ষ কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য 5S টুলস খুবই প্রয়োজনীয়।

S এর লক্ষ্য কি?

  • ইহা পাঁচটি পিলারের সমন্বয়ে গঠিত স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান কোম্পানীর পরিবেশ।
  • কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি উন্নত উপায়ে কাজ করার জন্য সৃজনশীল কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করে।
  • অত্যন্ত আরামদায়ক হয়।চাকরীর ক্ষেত্রে কর্মী ও কর্মচারীদের সন্তুষ্টি বাড়ায়। 

5S এর মূনাফা কি কি?

  • শুন্য চেঞ্জ ওভার লস
  • শুন্য ডিফেক্ট
  • শুন্য মেশিন ব্রেকডাউন
  • শুন্য অভিযোগ (বায়ারের)
  • শুন্য লাল কালি (অডিট)
  • শুন্য অপচয়
  • ১০০% সঠিক সময়ে শিপমেন্ট
  • শুন্য দুর্ঘটনা

ফাইভ এস এর সুবিধা?

  • ফাইভ এস  নিরাপত্তার উন্নতি সাধন করে থাকে। 
  • কর্মীদের মধ্যে নৈতিক মনোবল বৃদ্ধি করা। 
  • উপযোগীমূলক কর্ম পরিবেশ তৈরী করা।
  • পণ্যের পরিমাণগত এবং গুণগত মান বৃদ্ধি করা।
  • অপচয়ের পরিমাণ রোধ করা। 
  • সমস্যাসমূহ তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা। 
  • সহজে প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা।
  • কর্মীদের মধ্যে কর্মস্থলের প্রতি আনুগত্য বৃদ্ধি করা।
  • কাজের মধ্যে কর্মীদের সন্তুষ্টি বাড়বে।
  • কর্মীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক শক্তিশালী করা।
Next Post Previous Post