কর্মী সংগ্রহ ও নির্বাচনের সংজ্ঞা | কর্মী সংগ্রহের উৎস কয়টি ও কি কি

কর্মীসংস্থান কি?

কোন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে কি ধরনের, কত সংখ্যাক কর্মীর প্রয়োজন হয় তা নির্দিষ্টকরণ, ও সেই অনুযায়ী যথাযথ উৎস বাছাই করে তা থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন ও তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় কার্য ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াকেই কর্মীসংস্থান বলে।
কর্মীসংস্থান ও কর্মী সংগ্রহ
কর্মীসংস্থান ও কর্মী সংগ্রহ

কর্মী সংগ্রহ কি?

কর্মী সংগ্রহ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ও পূর্ব নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী যোগ্যতার জনশক্তি কোন উৎস হতে সংগ্রহ করা ও উক্ত উৎস হতে প্রয়োজনীয় জনশক্তিকে কর্মী নির্বাচনের সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত আনার ব্যবস্থা করা। এক কথায় বলা যায় কর্মী সংগ্রহ বলতে ভবিষ্যতে কর্মী খুজে বের করার পন্থা। 

কর্মী সংগ্রহের উৎস কত প্রকার ও কি কি?

কর্মী সংগ্রহের ক্ষেত্রে উৎস বিবেচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন উৎস হতে কর্মী সংগ্রহ করা হবে তার নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কর্মী সংগ্রহের উৎসকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
  • আভ্যন্তরীণ উৎস (Internal Sources)
  • বাহ্যিক উৎস (External Sources) 

অভ্যন্তরীণ উৎস (Internal Sources) 

কোন প্রতিষ্ঠান অনেক সময় কর্মরত কর্মীদের মধ্য হতে কর্মী সংগ্রহ করে থাকেন। একে কর্মী সংগ্রহের অভ্যন্তরীণ উৎস বলা হয়। কর্মী সংগ্রহের অভ্যন্তরীণ উৎসসমূহ হলঃ
  • পদোন্নতি
  • নিয়োজিত কর্মীদের সুপারিশ 
  • শ্রমিকসংঘের সুপারিশ

পদোন্নতি

উচ্চতর ও দায়িত্বপূর্ণ পদে যেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীর প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের পদোন্নতি প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কর্মী সংগ্রহ করা হয়। 

নিয়োজিত কর্মীদের সুপারিশ

কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বর্তমানে কর্মরত কর্মীদের সুপারিশের ভিত্তিতে ও কর্মী সংগ্রহ করে। 
 

শ্রমিক সংঘের সুপারিশ

শ্রমিক সংঘ কর্মী সংগ্রহের উৎস হিসাবেও কাজ করে। তাদের পছন্দমত প্রার্থীর নিয়োগের জন্য শ্রমিক সংঘ কাজ করে। 

বাহ্যিক উৎসমূহ (External Sources) 

অভ্যন্তরীণ উৎস ছাড়াও অন্য কোন উৎস হতে কর্মীসংগ্রহ করলে তাকে কর্মী সংগ্রহের বাহ্যিক উৎস বলা হয়। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে যখন যোগ্য কোন লোক পাওয়া যায় না বা অতিরিক্ত নতুন লোকের প্রয়োজন হয় তখন বাহ্যিক উৎস থেকে কর্মী সংগ্রহ করা হয় উৎসসমূহের বর্ণনা নিচে দেয়া হলঃ
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • চাকরি বিনিয়োগ কেন্দ্রঃ
  • বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
  • চাকুরি মেলা
  • চাকরির সন্ধানী

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

কোন প্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মীর প্রয়োজন হলে ঐ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুমোদনক্রমে তাদের বিজ্ঞপ্তি বোর্ডে টানিয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়াতেও অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী সংগ্রহ করে।

বিজ্ঞাপন

শূন্য পদে লোক নিয়োগের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সংবাদপত্র, জার্নাল, টিভি ইত্যাদিতে বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকে। 

চাকরি বিনিয়োগ কেন্দ্র

বর্তমানে চাকুরি বিনিয়োগ কেন্দ্র নামে অনেক ক্ষেত্রেই কিছু স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করা যায়। কোন প্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মীর প্রয়োজন হলে তারা চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগ কেন্দ্র হতে নতুন নতুন কর্মী সংগ্রহ করে থাকে। 

বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

কর্মী সংগ্রহের আরেকটি অন্যতম উৎস হচ্ছে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নানাবিধ ট্রেডে প্রশিক্ষণ দান করা হয়। 

চাকুরি মেলা

বর্তমান চাকরি মেলা কর্মী সংগ্রহের একটি জনপ্রিয় উৎস। এক্ষেত্রে চাকরিদাতাগণ সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রার্থীকে মেলা থেকে সংগ্রহ করে থাকে। 

চাকরির সন্ধানী

বর্তমানে বেকারত্ব অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য অনাহুতভাবে আবেদনপত্র জমা দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মীর প্রয়োজনে এ সকল চাকরি সন্ধানীদের আবেদন অনেক সময় বিবেচনা করে কর্মী সংগ্রহ করা হয়।
Next Post Previous Post