উপাত্ত ও তথ্য সংগ্রহ কি | উৎসের ভিত্তিতে তথ্য কত প্রকার

তথ্য বা উপাত্ত কি?

কোন বিষয় সম্পর্কে জানা বা গবেষণা করার জন্য অথবা কোন সমস্যা সমাধান করার জন্য অনুসন্ধান কার্যের মাধ্যমে ঐ বিষয় সম্পর্কে বা গবেষণার বিষয় সম্পর্কিত অথবা সমস্যা সম্পর্কিত যা কিছু সংগ্রহ করা হয় তাকেই তথ্য বা উপাত্ত বলা হয়৷ পরিসংখ্যানিক গবেষণা কাজের প্রধান ও অত্যাবশ্যক হল তথ্য৷

তথ্য সংগ্রহ কি?

অনুসন্ধান ক্ষেত্রে হতে রাশি বা সংখ্যাবাচক তথ্য আহরণই হল তথ্য সংগ্রহ৷ পরিসংখ্যানের প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করা৷ তথ্য সংগ্রহ থেকেই একজন পরিসংখ্যানবিদের কাজ শুরু হয়৷ তথ্য প্রাথমিকভাবে কোন একটি বিশেষ স্থানে সংঘবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না৷ এগুলো অনুসন্ধান ক্ষেত্রের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে৷ 
তথ্য সংগ্রহ
তথ্য সংগ্রহ
এগুলো অনুসন্ধান ক্ষেত্রে উত্তরদাতাদের কতিপয় তথ্য আহরণ করলে তা পরিসংখ্যানের ভাষায় তথ্য বলে বিবেচিত হবে না৷ তথ্য সংগ্রহের পূর্বে প্রত্যেকটি অনুসন্ধানের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার পরিধি কি কি তথ্য সংগ্রহ করতে হবে ইত্যাদি জানা প্রয়োজন৷ তা না হলে সময় ও অর্থের অপচয় হবে৷

উৎসের ভিত্তিতে তথ্যের প্রকারভেদ?

তথ্যের উৎসের ভিত্তিতে তথ্যকে দু'ভাগে ভাগ করা যায় যথা
  • প্রাথমিক বা মূল তথ্য
  • মাধ্যমিক বা পরোক্ষ তথ্য

প্রাথমিক তথ্য

কোন বিশেষ উদ্দেশ্য বা গবেষণার জন্য অনুসন্ধান ক্ষেত্র বা তথ্য বিশ্বের প্রতিটি অবস্থান থেকে সরাসরি যে তথ্য সংগ্রহ করা হয় তাকে প্রাথমিক তথ্য বলা হয়৷ সংগৃহীত এ সকল তথ্যের উপর কোন ধরনের পরিসাংখ্যানীয় পদ্ধতি প্রয়োগের পূর্ব পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য বলে বিবেচিত হয়৷

যে তথ্য পরোক্ষ উৎস থেকে যেমন কোন তথ্য কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংগৃহীত হবার পর সেখান থেকে সংগ্রহ করা হয় বা কোন প্রকাশনা হতে সংগ্রহ করা হয় তাকে  মাধ্যমিক তথ্য বা পরোক্ষ তথ্য বলে৷

অথবা গবেষণার জন্য কোন সংস্থা কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য যা প্রথমবারের মত সংগৃহীত নয় বা যে তথ্যের উপর কমপক্ষে একবার পরিসংখ্যানীয় কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে তাকে মাধ্যমিক তথ্য বলা হয়৷

প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিসমূহ?

তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য ব্যবহৃত পরিমাপের একক তথ্যের নির্ভুলতা তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি  ও প্রশ্নপত্রের উৎকর্ষতা ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে৷ এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের ব্যয় সময় অনুসন্ধানকারীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ এবং প্রশ্নপত্রের মান ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে৷ প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিগুলো হলঃ
  • সরাসরি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ
  • পরোক্ষ অনুসন্ধান
  • ডাকযোগে প্রশ্নপত্র পদ্ধতি
  • গণনাকারীর মাধ্যমে অনুসন্ধান
  • টেলিফোনে সাক্ষাৎকার
  • তথ্য সংগ্রহকারীর সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং
  • স্থানীয় উৎস

সরাসরি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ

এ পদ্ধতিতে গবেষক বা অনুসন্ধানকারী ব্যক্তিগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন৷৷ অনুসন্ধানকারী নিজে কার্যক্ষেত্রে গিয়ে উত্তরদাতার সাথে সাক্ষাৎ করে বা পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করেন৷ এভাবে সংগৃহীত তথ্য বেশ সঠিক হয়৷  কিন্তু এতে বেশ সময় লাগে৷ ব্যাপক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না৷

সুবিধা

অনুসন্ধানকারী নিজে তাথ্য সংগ্রহ করেন বলে এ তথ্য বেশ সঠিক ও নির্ভরযোগ হয়৷ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ছোট হলে এতে বেশ সুবিধা হয়৷

অসুবিধা

এ পদ্ধতিতে বেশ সময় লাগে৷ ব্যাপক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না৷

পরোক্ষ অনুসন্ধান

যেসব জটিল ক্ষেত্রে উত্তরদাতা গণনাকারীকে তথ্য সরবরাহ করতে চান না বা উত্তরদাতা সঠিক উত্তর দিবেন না বা দিচ্ছেন না বলে মনে হয়৷ সেক্ষেত্রে পরোক্ষ অনুসন্ধানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এরূপ ক্ষেত্রে ঘটনার সাথে জড়িত বা তথ্য সম্বন্ধে সঠিকভাবে অবগত আছে এমন বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ পরিচিত কোন ব্যক্তির নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷ 

কোন কোন উত্তরদাতা ব্যক্তিগত দুর্বলতা বা রেষারেষি দরুন অনেক সময় ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন৷ সুতারাং তার জবাবের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য প্রত্যক্ষ প্রমাণ দরকার হয়৷ এরূপ ক্ষেত্রে বা এ পদ্ধতিতে একজনের বিবৃতির উপর নির্ভর করা যায় না৷

সুবিধা

এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করতে সময় ও অর্থ বেশ কম লাগে৷ গুণবাচক সংগ্রহ করতে এ পদ্ধতি বেশ সুবিধাজনক৷

অসুবিধা

তথ্য সরবরাহকারী পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে৷ আবার সে তথ্য সম্বন্ধে পরোপুরি অবগত না থাকলে ভুল তথ্য পরিবেশিত হবার সম্ভাবনা থাকে৷

ডাক মারফত প্রশ্নপত্র সংগ্রহ পদ্ধতি

এ পদ্ধতিতে গবেষণার বিষয়বস্তুর উপর একটি সুন্দর ও সহজ প্রশ্নপত্র তৈরি করে ডাকযোগে উত্তরদাতার নিটক পাঠানো হয়৷ উত্তরদাতা প্রশ্নপত্রটি পূরণ করে ফেরত পাঠান৷  এতে সময় ও খরচ কম লাগে৷ অনেক সময় উত্তরদাতা প্রশ্নের অর্থ  বুঝতে না পারলে ক্রটিপূর্ণ উত্তর দেন৷  

আবার কেউ কেউ প্রশ্নপত্রটি ফেরতে পাঠান না অথবা উত্তরপত্র অসম্পন্ন করে পাঠান৷ সাধারণত মতামত যাচাই জাতীয় অনুসন্ধানে এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷

সুবিধা

এ পদ্ধতিতে কোন গণনাকারী নিয়োগ করা হয় না৷ এতে অর্থ ও সময় বেশ কম লাগে৷

অসুবিধা

অনেক উত্তরদাতা প্রশ্নপত্র ফেরত পাঠায় না৷ অনেকে প্রশ্নের অর্থ বুঝতে না পারলে কিংবা প্রশ্ন তার স্বার্থবিরোধী হলে ভুল তথ্য পরিবেশন করতে পারে৷ অনেকে প্রশ্নপত্র অসম্পূর্ণভাবে পূরণ করে পাঠায়৷

গণনাকারীর মাধ্যমে অনুসন্ধান

পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহকারী প্রয়োজনীয় তথ্যের একটি প্রশ্নমালা নিয়ে উত্তরদাতার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে উত্তর লিপিবদ্ধ করেন৷ ব্যাপক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷ এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করতে অনেক সময় লাগে এবং প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়৷ 

অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য ও প্রশ্নের জটিলতা বিশদভাবে বিশ্লেষণ করে উত্তরদাতাকে বুঝিয়ে দিতে না পারলে উত্তরদাতা অনেক সময় সঠিক তথ্য দিতে চায় না৷ সুতরাং প্রশ্নপত্র বেশ সহজ ও সাবলীল বাস্তবমুখী এবং গণনাকারীকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হওয়া উচিত৷

সুবিধা

ব্যাপক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি খুব সুবিধাজনক হয়৷ এতে তথ্য সংগ্রহ করতে সময় বেশ কম লাগে৷ তথ্য সংগ্রহকারী প্রশ্নের জটিলতা ও অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে উত্তরদাতাকে বুঝতে পারেন৷ ফলে এ পদ্ধতিতে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়৷

অসুবিধা

এটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল পদ্ধতি৷ গণনাকারী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বা দক্ষ না হলে ভুল সংগৃহীত হতে পারে৷

টেলিফোন সাক্ষাৎকার

অনেক সময় জরুরি ভিত্তিতে স্বল্প পরিসরের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য টেলিফোন সাক্ষাৎকার পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়৷ এতে সময় ও খরচ কম লাগে৷ তবে তথ্য সংগ্রহকারীর কথাবার্তা মার্জিত হওয়া বাঞ্ছনীয়৷ 

উত্তরদাতার টেলিফোন না থাকলে বা সে উপস্থিত না থাকলে তথ্য সংগ্রহ করতে অসুবিধা হয়৷

সুবিধা

অল্প সময়ে ও সংক্ষেপে অল্প তথ্য সংগ্রহ করতে এ পদ্ধতি বেশ সুবিধাজনক৷

অসুবিধা

উত্তরদাতার টেলিফোনে না থাকলে কিংবা সে উপস্থিত না থাকলে এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা যায় না৷

তথ্য সংগ্রহকারীর সরাসরি পর্যবেক্ষণ

এ পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণকারী গবেষণার প্রশ্নপত্র নিয়ে কার্যক্ষেত্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেন৷ এ পদ্ধতিতে কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে হয় না৷ ব্যক্তিগত বিচার বুদ্ধি ও পর্যবেক্ষণ দ্বারা লব্ধ জ্ঞান লিপিবদ্ধ করা হয়৷

আর এ পদ্ধতিতে ব্যক্তিগত দুর্বলতা ও পক্ষপাতিত্বের বা ঈর্ষাজনিত কারণে ভুল তথ্য পরিবেশনের সম্ভাবনা থাকে  ব্যাপক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব নয়৷

সুবিধা

গুণাবাচক তথ্য সংগ্রহ করতে এ পদ্ধতি বেশ সুবিধাজনক হয়৷ এতে সময় ও অর্থ বেশ কম লাগে৷

অসুবিধা

ব্যাপক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না৷ এতে ব্যক্তিগত দুর্বলতা ও পক্ষপাতিত্বের দরুন ভুল তথ্য পরিবেশিত হবার সম্ভাবনা থাকে৷

স্থানীয় উৎস

এ পদ্ধতিতে স্থানীয় প্রতিনিধি বা সংবাদদাতার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷ বিশেষ করে অঞ্চলভিত্তিক তথ্য যেমন শস্যের উৎপাদন বন্যা পরিস্থিতি অগ্নি ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎসের মারফতে তথ্য সংগ্রহ করা যায়৷

সুবিধা

এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করতে সময় ও অর্থ বেশি লাগে না৷ আবার জনশক্তিরও তেমন খুব একটা দরকার লাগে না৷

অসুবিধা

এ পদ্ধতিতে অনেক সময় অনুমানের উপর নির্ভর করে তথ্য সরবরাহ করা হয় বলে ঘটনার পুরোপুরি বিবরণ বা হিসাব পাওয়া যায় না এবং পরিবেশিত তথ্য পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে৷

মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিসমূহ?

প্রকৃতপক্ষে মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের কোন পদ্ধতি নেই৷ মাধ্যমিক তথ্য সাধারণত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিবেদন গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্নাল ইত্যাদি থেকে সংগ্রহীত হয়ে থাকে৷ মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের প্রধানত দুটি উৎসঃ
  • প্রকাশিত উৎস এবং
  • অপ্রকাশিত উৎস

প্রকাশিত উৎস

বিভিন্ন প্রয়োজন ও অবস্থার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে সকল পরিসংখ্যান প্রকাশনা বা সংকলন প্রকাশ করে সেগুলোই হল মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের প্রকাশিত উৎস৷ প্রকাশিত উৎস তিন প্রকারে ভাগ করা যায়ঃ
  • সরকারি উৎস
  • আধা সরকারি উৎস
  • বেসরকারি উৎস

সরকারি উৎস

সরকার তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজন ও পরিকল্পনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করে থাকে৷ এসকল তথ্যসমূহ  রিপোর্প বা প্রতিবেদন আকার প্রকাশ করা হয়৷ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো অর্থ বিভাগ বাণিজ্য বিভাগ শিক্ষা বিভাগ বাংলাদেশ পে কমিশন পাবলিক সার্ভিস কমিশন অন্যতম৷ 

আর এ সকল বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যসমূহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিকট মাধ্যমিক তথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷

আধা সরকারি উৎস

দেশের বিশ্ববিদ্যলয়সমূহ বাংলাদেশ ব্যাংক বীমা বাংলাদেশ বিমান রাষ্ট্রায়ত্ত বাংক মৎস্য উন্নয়ন বোর্ড প্রভৃতি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে ও গবেষণা কাজের জন্য বিভিন্ন জরিপ কাজের মাধ্যমে পরিসংখ্যানিক তথ্য সংগ্রহ এবং রিপোর্ট বা প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে থাকে৷ 

আর এ সকল প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত তথ্যসমূহ অন্য কোন প্রতিষ্ঠান গবেষণা বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করলে সেগুলো মাধ্যমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হবে৷

বেসরকারি উৎস

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘ বিশ্বব্যাংক খাদ্য ও কৃষিসংস্থা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন এনজিও ফার্ম প্রভৃতি তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের জরিপ কাজের মাধ্যমে পরিসংখ্যানিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করে থাকে৷ 

এ সকল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংগ্রহীত ও প্রকাশিত তথ্য অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য অথবা যে কোন গবেষকের জন্য মাধ্যমিক তথ্য হিসেবে বিবেচিত হবে৷

অপ্রকাশিত তথ্য

অনেক পরিসংখ্যানিক তথ্য আছে যা কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন গবেষক কর্তৃক সংগৃহীত হয়েছে কিন্তু প্রকাশিত হয় নি বরং ফাইলবন্ধী হয়ে আছে৷ এ সকল পরিসংখ্যানিক তথ্যসমূহকেই অপ্রকাশিত তথ্য বলা হয়৷

আর এ সকল অপ্রকাশিত তথ্য অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা গবেষক ব্যবহার করলে সেগুলো মাধ্যমিক তথ্য হিসেবে বিবেচিত হবে৷

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক তথ্যের পার্থক্য?

প্রাথমিক তথ্য এবং মাধ্যমিক তথ্যের মধ্যে যে সকল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ

প্রাথমিক তথ্য

  • প্রাথমিক তথ্য মূল উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়৷
  • এ তথ্য এমন যে এতে ইতিপূর্বে কোন পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় নি৷
  • এটা কেবল মূল একেক সংগ্রহ করা হয়৷
  • এটা প্রথম পর্যায়ী তথ্য৷

পরোক্ষ বা মাধ্যমিক তথ্য

  • পরোক্ষ তথ্য মূল উৎস হতে সংগ্রহ না করে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত তথ্য বা প্রকাশনা হতে সংগ্রহ করা হয়৷
  • এ তথ্য এমন যে এতে ইতিপূর্বে কোন না কোন পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে৷
  • এটা মূল এককে কিংবা পরিবর্তত এককে যেমন গড় সমষ্টি শতকরা হয় ইত্যাদি আকারে পাওয়া যায়৷
  • এটা দুই ততধিক পর্যায়ী তথ্য৷
Next Post Previous Post