স্কেল কাকে বলে?
কাগজের তুলনায় কোন বস্তু যদি বড় না হয়, তবে তাকে পূর্ণমাপে অঙ্কন করা যায়৷ কিন্তু কাগজের তুলনায় বস্তু বড় হলে তাদেরকে কখনও পূর্ণমাপে অঙ্কন করা সম্ভব হয় না। যেমনঃ ঘরবাড়ি, রাস্তা, সেতু, বড় মেশিন বা এর অংশ, জমি ইত্যাদি৷ আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও জটিল বস্তুর গঠনকে উত্তমরুপে বুঝানোর জন্য এদেরকে বড় করেও অঙ্কন করার প্রয়োজন পড়ে৷
তাই প্রয়োজন ও সুবিধা অনুসারে এদের মাপকে সর্বদা একটি নির্দিষ্ট হারে কমিয়ে বা বাড়িয়ে অঙ্কন করতে হয়৷ সুতারাং বস্তুর প্রকৃত মাপের তুলনায় ড্রয়িং এ বস্তুকে ক্ষুদ্রতর, বৃহত্তর কিংবা পূর্ণমাপে অঙ্কন করার সম্পর্ককে স্কেল বা মাপ হার বলে৷ তাই ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং এর ক্ষেত্রে স্কেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে৷ প্রত্যেক ড্রয়িং এ যে স্কেল বা মাপ হারে এটা অঙ্কন করা হয়।
তা টাইটেল ব্লক এ স্পষ্ট করে লিখে দেয়ার নিয়ম৷ যদি ড্রইংটি কোন নির্দিষ্ট মাপ হারে অঙ্কিত না হয়ে থাকে, তাহলে ঐ স্থানে কথা লিখে তা বুঝিয়ে দিতর হয়৷
স্কেল কত প্রকার ও কি কি?
- সরল বা প্লেইন স্কেল
- কর্ণ বা ডায়াগোনাল স্কেল
- ভার্নিয়ার স্কেল
- তুলনামূলক বা কস্পারেটিভ স্কেল
- কর্ডের স্কেল
- সমপরিমাপ বিশিষ্ট স্কেল
|
সরল বা প্লেইন স্কেল |
সরল স্কেল কি?
এটা দ্বিমাত্রিক স্কেল অর্থাৎ দু ধরনের পরিমাপ পাওয়া যায় যেমনঃ সেমি এবং মিমি ফুট এবং ইঞ্চি ইত্যাদি৷
|
ডায়াগোনাল স্কেল |
ডায়াগোনাল স্কেল কি?
তিন ধরনের মাপ বা ভগ্নাংশসহ তিন ধরনের মাপের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়৷ তাই একে ত্রিমাত্রিক স্কেল বলা হয় যেমন ডেসি সেমি মিমি বা মিটার ডেসি এবং সেমি ইত্যাদি৷ |
ভার্নিয়ার স্কেল
|
ভার্নিয়ার স্কেল কি?
ক্ষুদ্র ভগ্নাংশের মাপের জন্য এ স্কেল ব্যবহৃত হয়৷ |
তুলনামূলক বা কস্পারেটিভ স্কেল |
তুলনামূলক স্কেল কি?
এটি তুলনা মূলক স্কেল৷
|
কর্ডের স্কেল |
কর্ডের স্কেল কি?
এটি কৌণিক মাপের জন্য ব্যবহৃত হয়৷
সম মাত্রিক মাপনী কি?
সম মাত্রিক দৈর্ঘ্য সম্পর্কিত মাটনী বা স্কেল অঙ্কনের জন্য প্রথমে, AB একটি অনুভূমিক সরল রেখা টানিয়া A বিন্দুতে ইহার সহিত যথক্রমে 45°ও 30° কোণে AC ও AD দুইটি সরলরেখা টান৷ AC এর উপর প্রকৃত দৈর্ঘ্যের বিভাগ রেখা টানিয়া ইহার প্রত্যেকটি বিভাগ বিন্দু হতে নিচের দিকে AB এর উপর লম্ব টান৷ আর এই রেখাগুলো AD রেখাকে যে যে বিন্দুতে ছেদ করল উহাতে AC বিভাগ চিহ্নের সাথে মিল রেখে বিভাগ রেখা টান৷ |
সমপরিমাপ বিশিষ্ট স্কেল |
যার ফলে এই AD রেখার উপর অঙ্কিত মাপনীই সম ম্যাত্রিক বা আইসোমেট্রিক স্কেল হল। এই স্কেল অন্যনপ্রকারেও অঙ্কন করা যেতে পারে৷ প্রথমে AB একটি সরল রেখা টেনে এর দুই প্রান্তে যথাক্রমে 150°ও 45° কোণে এবং পরস্পরকে C বিন্দুতে ছেদ করিয়ে ACও BC দুইটি সরল রেখা টান এবার AB কে প্রকৃত দৈর্ঘ্য মাপ হারে বিভক্ত করে নিয়ে প্রত্যেকটি বিভাগ বিন্দু হতে BC এর সমান্তরালরুপে রেখা টেনে AC ছেদ করাওর৷ AC এর উপরিস্থ এই বিভাগ বিন্দু দ্বারা নির্দিষ্ট আইসোমেট্রিক দৈর্ঘ্যকে সূচিত করবে৷
স্কেলের অনুপাতসমূহ?
সাধারণভাবে ব্যবহৃত
স্কেলের অনুপাতসমূহ নিম্নরুপঃ- পূর্ণ স্কেল ফুল সাইজ
- অর্ধ স্কেল হাফ সাইজ
- এক চতুর্থাংশ স্কেল কোয়ার্টার সাইজ
- চতুগুণ স্কেল ফোর টাইমস ফুল সাইজ
- এক অষ্টমাংশ স্কেল ওয়ান এইটথ সাইজ
- দ্বিগুণ স্কেল টোয়াইস ফুল সাইজ