আধুনিক বিশ্বে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পত্র গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। পত্র বলতে কোন তথ্য বা সংবাদ বা কোন প্রয়োজনকে বিশেষ নিয়মে কাগজে লিখে অন্যের নিকট তুলে ধরার প্রক্রিয়াকে বুঝায়। বহুকাল পূর্ব থেকেই পত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা পৃথিবীতে প্রচলিত হয়ে আসছে। যখন কাগজ আবিষ্কৃত হয়নি, সে সময়ে মানুষ বিভিন্ন গাছের পত্রে কোন কিছু লিখে রাখত। সে থেকেই পত্রের উৎপত্তি আজও লিখিত সংবাদ বা তথ্যকে পত্র বলা হয়।
পত্র যোগাযোগ |
পত্র আজকের দিনে আমাদের ব্যস্টিক ও সমষ্টিগত জীবনের অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। এর মাধ্যমে অতি সহজে ভাবের আদান-প্রদান করা যায়। পত্রের মাধ্যমে আমরা দূর-দূরান্তে অবস্থিত আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছে খবরাদি পাঠাই। তাদের কুশলাদি জানি এবং ব্যবহারিক জীবনের ব্যবসা-বাণিজ্য চাকরিতে এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত অন্যান্য প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি।
মোটকথা বর্তমানকালে আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে যোগাযোগের পত্র ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নির্ভরযোগ্য এবং স্থায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার এক অনন্য কার্যক্রম মাধ্যম হচ্ছে পত্র।কারবারি জগত থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পত্রের ব্যবহার ও কার্যকারিতা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান জগতে বহু ধরনের পত্র রচনা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান জুড়ে আছে প্রাতিষ্ঠানিক এবং আধা প্রাতিষ্ঠানিক পত্র। প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়টি নিয়ে দুটি অফিস বা দুইজন অফিস কর্মচারী অথবা দুটি বিভাগের মধ্যে যে পত্র বিনিময় করা হয় তাকে বলা হয় প্রাতিষ্ঠানিক পত্র বা অফিশিয়াল লেটার বলে। এ জাতীয় পত্র রচনা মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে অফিস সংক্রান্ত খবরা খবর আদান প্রদান করা।
প্রাতিষ্ঠানিক পত্র রচনা করার সময় প্রাতিষ্ঠানিক রীতিনীতি ও আইন-কানুন যথাযথভাবে মেনে চলতে হয়। এ জাতীয় পত্রে পত্র লেখকের ব্যক্তিগত কথাবার্তা বা আবেগ আপ্লুত ভাষা ব্যবহার করার কোন অবকাশ থাকে না। পক্ষান্তরে অফিশিয়াল ও ব্যক্তিগত পত্র সংশোধনের মাধ্যমে যে অফিশিয়াল পত্র রচনা করা হয় তাকে আধা প্রাতিষ্ঠানিক পত্র বলে। এ জাতীয় পত্র রচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে অফিস সংক্রান্ত খবরা খবর সমূহের পাশাপাশি ব্যক্তিগত খবরা-খবর সংমিশ্রন ঘটনো।
আধা প্রাতিষ্ঠানিক পত্র রচনা করার সময় প্রাতিষ্ঠানিক পত্র লেখা রীতিনীতি আইন-কানুন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় না। কার্যত এ জাতীয় পত্রে ব্যক্তিগত বিষয়সমূহ ও সময় স্থান পেলেও মূল্য প্রতিপাদ্য বিষয় অফিস সংক্রান্ত হয়ে থাকে।
মোট কথা আধুনিক যুগে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন ধরনের চিঠিপত্র আদান-প্রদান দেখা যায়। যোগাযোগের প্রকৃতি ও পত্রের ব্যবহারকে আধুনিকায়ন করাকে পত্র যোগাযোগ বলে।