নন ওভেন ফেব্রিক | নন ওভেন ফেব্রিকের ব্যবহার

নন-ওভেন কি?
নন-ওভেন ফেব্রিকের ব্যবহার তুলনামূলক বেশি। এই ফেব্রিকের ব্যবহারের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। তবে কিছু কিছু নন-ওভেন পণ্য আছে যেগুলো একবার ব্যবহার করা যায়।

আবার কিছু কিছু নন-ওভেন পণ্য আছে যেগুলো ব্যবহার করার পর পূনরায় ব্যবহার করা যায়। তবে কিছু নন ওভেন পণ্য আছে যেগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। নন ওভেনের পণ্যগুলোর দাম তুলনামূলক কম ও উৎপাদনের হারও তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। 

নন ওভেন ফেব্রিক
নন ওভেন ফেব্রিক

নন-ওভেন ফেব্রিক কাকে বলে?

প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম আঁশের বন্ধন অথবা ইন্টারলকিং অথবা উভয়ের মাধ্যমে তৈরি ছিদ্রযুক্ত টেক্সটাইল স্ট্রাকচার, যা যান্ত্রিক, রাসায়নিক ও তাপীয় অথবা দ্রাবক পদার্থের সাহায্যে অথবা উভয়ের সম্মিলনের মাধ্যমে তৈরি কাপড়কে নন-ওভেন ফেব্রিক বলে।

নন-ওভেন পণ্যের নামসমূহ?

  • স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়াপার
  • ট্রেইনিং প্যান্টস, এপ্রোন ওয়াশ ক্লথ, টেবিল ক্লথ
  • ড্রাই ও ওয়েট উইপস, লেন্স টিসু
  • স্কাওয়ারিং প্যাড, ইন্টার-লাইনিং, টেপস, প্যাকেজিং, টি ও কফি ব্যাগ
  • কোটেড ফেব্রিকস, মিলিটারি ক্লদিং
  • বুক কভার ,ম্যাপস,টাওয়েলস
  • কুশন টিকিং, প্যাডস, পিলো, পুল স্ট্রাইপ, 
  • রুট ব্যাগ, ক্যাবল ইনসুলেশন সাইড লাইনার ইত্যাদি। 

নন-ওভেন ফেব্রিকে ব্যবহৃত আঁশসমূহ?

  • কটন, ভিসকোস রেয়ন
  • উড পাল্প, পলিপ্রোপাইলিন
  • বাই-কম্পোনেন্ট, পলিয়েস্টার
  • অলিফিন, অ্যারামিড
  • মাইক্রো-ফাইবার ইত্যাদি। 

নন-ওভেন ফেব্রিকের ইতিহাস?

নন-ওভেন ফেব্রিকের ইতিহাস যতদুর পর্যালোচনা করা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নন-ওভেন কাপড়ের বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু হয়।এরপর যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪২ সালে প্রথম উৎপাদন হয় নন-ওভেন কাপড়। আর সেই সময়ে স্বল্প সংখ্যক কোম্পানি কটন বর্জ্য পদার্থ, ও বন্ডেড উপাদান দ্বারা নন-ওভেন কাপড় তৈরি করতো। ফলে পরবর্তীতে নন-ওভেন কাপড়ের উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমান সময়ে নন-ওভেন ফেব্রিকের উৎপাদন সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে নন-ওভেন ফেব্রিকের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

নন-ওভেন ফেব্রিক উৎপাদনের দেশসমূহ?

  • যুক্তরাষ্ট্র
  • জাপান
  • পশ্চিম ইউরোপ
  • চীন ইত্যাদি।

নন-ওভেন কাপড়ের প্রধান কাঁচামাল কি?

নন-ওভেন কাপড়ের প্রধান কাঁচামাল হল সেলুলোজিক ফাইবার, কটন, রেয়ন ও এসিটেট।

নন-ওভেন ফেব্রিকের ব্যবহার?

  • গরম পোশাক তৈরিতে নন-ওভেন কাপড় ব্যবহার করা হয়।
  • কম্বল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। 
  • ইন্টারলাইনিং হিসেবে পোশাকে ব্যবহৃত হয়। 
  • স্লিপার ইনস্যুলেশন দ্রব্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  • ডেকোরেটিভ কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেব্রিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। 
  • হ্যাট, কলার ব্যাক ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
Textile BD

Founder and Editor of Textile BD. He is a Textile Blogger & Entrepreneur. He is working as a textile job in Bangladeshi companies.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন