তথ্য উপস্থাপন কাকে বলে?
পরিসংখ্যানীয় যে কোন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। এ তথ্যকে পরিসংখ্যানের কাঁচামাল বলা হয়। সংগৃহীত তথ্যকে সম্পাদনের মাধ্যমে ভুল ত্রুটি সংশোধন করে নির্ভরযোগ্য আকারে আনা হয়।
তথ্য সম্পাদনার পর প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তথ্যকে সহজ পাঠ্য বা বোধগম্য আকারে উপস্থাপন করা হয় আর একেই তথ্য উপস্থাপন বলা হয়।
তথ্য উপস্থাপন |
তথ্য উপস্থাপন কত প্রকার?
৪টি উপায়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়ঃ- বর্ণনার মাধ্যমে
- পরিসংখ্যানিক সারণি
- পরিসংখ্যানিক লেখ
- নকশা ও চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন
বর্ণনার মাধ্যমে কি?
এ পদ্ধতিতে তথ্যের বৈশিষ্ট্য ও গুনাগুন বিবরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। অর্থাৎ তথ্যের গুনাগুন ও বৈশিষ্ট্যসমূহকে এক একটি বাক্যের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।পরিসংখ্যানিক সারণি কি?
কোন একটি বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতে সমজাতীয় বিবেচিত একক গুলোকে একটি শ্রেণীতে বা গোত্রে সাজিয়ে লিখে যে সারণি পাওয়া যায় তাকে পরিসংখ্যানিক সারণী বলে।
পরিসংখ্যানিক লেখ কি?
পরিসংখ্যান উপাত্তকে স্থান, কাল, পরিমাণ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য অনুসারে বিভিন্ন ধরনের চিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করা যায়। এসব চিত্রগুলোকে পরিসংখ্যানিক লেখ বলে।নকশা ও চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন কি?
তথ্য উপস্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো নকশা বা চিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন। নকশা ও চিত্র হল পরিসংখ্যান তথ্যের চাক্ষুস উপস্থাপন। যেখানে তথ্যের মূল ঘটনা সম্পর্কে পরিস্ফুটিত হয়। যেমনঃ একমাত্রিক নকশা, দ্বিমাত্রিক নকশা, ত্রিমাত্রিক নকশা, কৌণিক চিত্র, মানচিত্র, রূপচিত্র ইত্যাদি।তথ্য উপস্থাপনের প্রস্তুতির বর্ণনা?
পরিসংখ্যানিক গবেষণার কাজে সংগৃহীত তথ্য সম্পাদনের মাধ্যমে ভুল ত্রুটি সংশোধন করে নির্ভরযোগ্য আকারে আনা হয়। তথ্য সম্পাদনের পরবর্তী পদক্ষেপ হল তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ।তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে তথ্যকে সহজপাঠ্য বা বোধগম্য আকারে উপস্থাপন করা। তথ্যকে বিভিন্ন রকম পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি যেমনঃ লেখ, সারণি ইত্যাদির মাধ্যমে উপস্থাপন করলে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে এবং সহজে পুরো তথ্য সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করা যায় এবং তথ্য বিশ্লেষণ করতে সুবিধা হয়। প্রধানত দুটি উপায় তথ্যকে উপস্থাপন করা যায়ঃ
- পরিসংখ্যানিক সারণী
- পরিসংখ্যানিক লেখ
পরিসংখ্যানিক সারণি কি?
কোন একটি বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতে সমজাতীয় বিবেচিত একক গুলোকে একটি শ্রেণীতে বা গোত্রে সাজিয়ে লিখে যে সারণি পাওয়া যায় তাকে পরিসংখ্যানিক সারণী বলে। পরিসাংখ্যিক উপাত্তকে উপস্থাপনের জন্য সাধারণত তিন ধরনের সারণি ব্যবহার করা হয় যেমনঃ- শ্রেণিবদ্ধকরণ
- তালিকাবদ্ধকরণ
- গণসংখ্যা নিবেশন
পরিসংখ্যানিক লেখ কি?
পরিসংখ্যান উপাত্তকে স্থান, কাল, পরিমাণ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য অনুসারে বিভিন্ন ধরনের চিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করা যায়। এসব চিত্রগুলোকে পরিসংখ্যানিক লেখ বলে। পরিসংখ্যান উপাত্তকে উপস্থাপনের জন্য নিম্নলিখিত লেখ ব্যবহার করা হয়ঃ- আয়তলেখ
- গনসংখ্যা রেখা
- গনসংখ্যা বহুভুজ
- বৃত্তাকার চিত্র
- দন্ডচিত্র
- কালীন রেখা
- অজিত রেখা