টেইলারিং ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পদ্ধতির পার্থক্যঃ
|
টেইলারিং পদ্ধতি |
টেইলারিং পদ্ধতিঃ
- এ পদ্ধতিতে একটি অথবা দুটি সেলাই মেশিন দ্বারা একটি ছোট ঘরে বসে পোশাক তৈরি করা হয়।
- এ পদ্ধতিতে একটি পোশাক তৈরি করতে এক থেকে দুই জন ব্যক্তির প্রয়োজন হয়।
- এ পদ্ধতিতে গ্রেডিং করার প্রয়োজন হয় না।
- নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট মাপের পোশাক তৈরি করা হয়।
- একটি পোশাক তৈরি করতে কয়েক ঘন্টা সময় লাগে।
- কাপড়ের অপচয় বেশি হয়।
- প্রাথমি মূলধন তুলনামূলকভাবে কম লাগে।
- তৈরি পোশাকে বিভিন্ন প্রকার লেবেল প্রয়োজন নাও হতে পারে।
- পোশাক তৈরির ত্রুটির কারণে লোকসানের ঝুঁকির পরিমাণ অনেক কম।
- পোশাক তৈরির পর আকর্ষণীয়ভাবে প্যাকিং করে সরবরাহ করা হয় না।
- একটি সেলাই মেশিন দ্বারা একজন দর্জি পোশাক সেলাই করে থাকে।
- এ পদ্ধতিতে একজন লোকের জন্য একটি পোশাক তৈরি করা হয় বলে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে।
- শরীরের আলাদা আলাদা অঙ্গের মাপ নিয়ে পোশাক তৈরি করা হয় বলে পোশাকের ফিটিংস ভাল হয়।
|
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পদ্ধতি |
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পদ্ধতিঃ
- এ পদ্ধতিতে একসাথে অনেক সংখ্যক সেলাই মেশিন দ্বারা বড় ঘরে বসে একসাথে অনেক পোশাক তৈরি করা হয়।
- অনেক সংখ্যক শ্রমিকের পরিশ্রম দ্বারা প্রতিটি পোশাক তৈরি করা হয়।
- এ পদ্ধতিতে গ্রেডিং করার প্রয়োজন হয়।
- আদর্শ মাপ অনুযায়ী সবার জন্য পোশাক তৈরি করা হয়।
- একটি পোশাক তৈরি করতে অল্প সময় প্রায় ১-১:৩০ মিনিট সময় লাগে।
- প্যাটার্ন অনুযায়ী কাপড় কাটা হয় বলে অপচয় কম হয়।
- প্রাথমি মূলধন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি লাগে।
- তৈরি পোশাকে বিভিন্ন প্রকার লেবেল অবশ্যই সংযোজন করতে হবে।
- পোশাক তৈরিতে ত্রুটির কারণে লোকসানের ঝুঁকির পরিমাণ বেশি থাকে।
- পোশাক তৈরির পর ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আকর্ষণীয়ভাবে প্যাকিং করে সরবরাহ করা হয় না।
- বহুসংখ্যক সেলাই মেশিন ও আনুষঙ্গিক মেশিন ব্যবহার করে পোশাক তৈরি করা হয়।
- একটি আদর্শ মাপ অনুযায়ী অনেকগুলো পোশাক একসাথে তৈরি করা হয় বলে উৎপাদন খরচ কম পড়ে।
- শরীরের ক্ষেত্রে পোশাকের ফিটিংস সবার ক্ষেত্রে ভাল নাও হতে পারে।